লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ১০৫ রানের। তবে মাইটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই লক্ষ্যও যে রোমাঞ্চ ছড়াতে পারে তারই আরেকটি ঝলক দেখলো মিরপুরের স্লো উইকেটে।
ম্যাচের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা রোমাঞ্চ টেনে সামনে আনলেন বোলারর। মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলামদের লড়াই করেই হার মেনেছে বাংলাদেশ। আর হতাশার সফরে সিরিজ হারার পর প্রথম জয়ের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া।
লক্ষ্য বড় না হলেও ধুঁকতে থুঁকতে শেষ পর্যন্ত। ৯ উইকেটে বাংলাদেশের করা ১০৪ রান তাড়ায় ১০৫ রান তুলতেও অজিরা খুইয়েছে ৭ উইকেট, ম্যাচটিও ৩ উইকেটে জিতেছে শেষ ওভারে গিয়ে!
১০৫ রান তাড়ায় এক ওভারেই ৩০ নেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান, তার পরও পরাজয়ের শঙ্কায় ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৬৫ রানে হারায় তারা ৬ উইকেট। তবে অ্যাশটন অ্যাগারের সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত শঙ্কা কাটাতে পারে তারা। আটে নেমে ২৭ বলে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। জয়ের কাছে গিয়ে তিনি আউট হলেও দল জিতে যায় এক ওভার বাকি রেখে।
১০৪ রানের পুঁজিতে সাকিবের ৪ ওভারে ৫০ রানই শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল বড় পার্থক্য। ৫ ম্যাচ সিরিজটি আপাতত ৩-১ করল স্বাগতিকরা। তাতে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন বাদ দিয়ে এবার মাহমুদউল্লাহর দলের সামনে ৪-০ করার সুযোগ। একই ভেন্যুতে একই সময় সিরিজের শেষ ম্যাচ সোমবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১০৪/৯ (নাঈম ২৮, সৌম্য ৮, সাকিব ১৫, মাহমুদউল্লাহ ০, সোহান ০, আফিফ ২১, শামীম ৩, মেহেদি ২৩, নাসুম ২*, শরিফুল ০; টার্নার ৪-০-২২-০, হেইজেলউড ৪-০-২৪-২, অ্যাগার ৪-০-২৩-০, টাই ৩-০-১৮-৩, সোয়েপসন, হেনরিকেস ১-০-৫-০)।
অস্ট্রেলিয়া : ১৯ ওভারে ১০৫/৭ (ম্যাকডারমট ৫, ওয়েড ২, ক্রিস্টিয়ান ৩৯, মার্শ ৫১, হেনরিকেস ৪, কেয়ারি ১, টার্নার ৯*, অ্যাগার ২৭, টাই ৪*; মেহেদি ৪-০-১৭-২, সাকিব ৪-০-৫০-০, নাসুম ৪-০-১৭-১, মুস্তাফিজ ৪-১-৯-২, শরিফুল ২-০-৮-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৩-০)।
ফল : বাংলাদেশ ৩ উইকেটে পরাজিত।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মিচেল সোয়েপসন।
সিরিজ : ৫ ম্যাচ সিরিজে ৩-১ এ এগিয়ে বাংলাদেশ।