Lead Newsকরোনাভাইরাস

শিশুদের ওপর ফাইজারের টিকার প্রয়োগে সফলতার দাবি

ফাইজার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, “পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ওপরে ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রয়োগ সফল হয়েছে।”  তাদের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল প্রকাশের পর আশা করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র, ইওরোপ এবং অন্যান্য দেশে শিশুদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের রেগুলেটর বা নিয়ন্ত্রকদের কাছে ফাইজার তাদের সমীক্ষার ফলাফল পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছর বয়সী মায়া হাবার এই সমীক্ষাটিতে অংশ নেয়। তার বন্ধুদেরকে ভবিষ্যতে আর মাস্ক পরিধান করতে হবে না বলে আশা করছে মায়া।

কম-বয়সী জনগোষ্ঠীর মাঝে এই ভ্যাকসিনটি আরও বেশি সহজলভ্য হলে স্কুলগুলোতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধ করা যাবে।

বায়ো-এন-টেক এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয় ফাইজার ভ্যাকসিন। এটি ইতোমধ্যে ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপরে প্রয়োগ করা হচ্ছে।

ফাইজার-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বিল গ্রাবার বলেন, “শিশুদের জন্য এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর। শিশুদের ওপর এটি প্রয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাচ্ছে ফাইজার।”

অনুমোদন লাভের জন্য অনুরোধ করার তিন সপ্তাহের মধ্যে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে যে, কম-বয়সীদের ওপরে এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা যাবে কিনা।

আর, চীন, ভারত, ব্রাজিল এবং অন্যান্য কতিপয় দেশের পর্যটকদের প্রতি আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো অচিরেই শিথিল করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নভেম্বর থেকে, পরিপূর্ণভাবে টিকাগ্রহণকারী মার্কিন অনাগরিকেরা দেশটিতে বিমান-ভ্রমণ করতে পারবেন। উপযুক্ত ৩৩ টি দেশের লোকেরা এ সুযোগ পাবে।

ইউ-এস সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টোনি ব্লিনকেন যুক্তরাজ্যের ফরেইন সেক্রেটারি এলিজাবেথ ট্রাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, “একটি কন্টাক্ট ট্রেসিং অর্ডারের অধীনে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্যাবলী সংগ্রহ করার দরকার হবে।”

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে স্পেনিশ ফ্লুর মতোই প্রায় সমান সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইনফ্লুয়েঞ্জার সেই বৈশ্বিক মহামারীতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোক মারা যায়, আর, করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬৭৫,০০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করছে অতিরিক্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলো অক্টোবরে পুনরায় রপ্তানি করা শুরু করতে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মানভিয়া বলেন, “বৈশ্বিক ভ্যাকসিন চাহিদা মেটাতে সহায়তা করছে তাদের সরকার।”

বিশ্ব জুড়ে ১০০টি দেশে ভারত ইতোমধ্যে ৬৬ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে কিংবা অনুদান হিসেবে দিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 17 =

Back to top button