শীঘ্রই সুসংবাদ দেবে তালেবান সরকারঃ হাশিমি
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার বলেছে, তারা মেয়েদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন। এ বিষয়ে শীঘ্রই বিশ্বকে সুসংবাদ দেয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবান পূববর্তী সরকারের আমলে শিক্ষা ব্যয় ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ইউনেস্কোর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের শিক্ষা বাজেটের প্রায় অর্ধেক বাইরের সাহায্যে পরিচালিত হয়েছে।
গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের দায়িত্ব নেয়ার পর সব ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ জাতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা বর্তমান সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়।
তালেবান সরকার জানায়, তারা ছেলেদের এবং সীমিত পরিসরে মেয়েদেরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে নির্দশনা দিয়েছে। বাকি অংশগুলোর ব্যাপারেও তারা শীঘ্রই বিশ্বকে সুসংবাদ দেবে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।
আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক্সটার্নাল প্রোগ্রামস অ্যান্ড এইড ডিরেক্টর ওয়াহেদুল্লাহ হাশিমি রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পুরো দেশ, পুরো জাতির জন্য একটি ভালো ঘোষণা থাকবে। আমাদের স্কলাররা এটি নিয়ে কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই আমরা এটি বিশ্বের কাছে ঘোষণা করব।
হাশিমি বলেন, তালেবান মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার উপায় নিয়ে কাজ করছে। কোনো নারী শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়নি এবং এটি বিশ্বের কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা যে আমরা একটি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি। আমরা আমাদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের মুছে ফেলার জন্য কাজ করছি না।
হাশিমি আরো বলেন, আগস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের পতনের পর হঠাৎ করে বিদেশি সমর্থন প্রত্যাহারের ফলে সরকারের অন্য ক্ষেত্রগুলোর মতো শিক্ষাখাতও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ কারণে তিনি পরিস্থিতি পরিবর্তনে দাতাদেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
নতুন পাঠ্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুলগুলোর জন্য একটি নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে কাজ করছে, যাতে ইসলামের নীতি, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং আন্তর্জাতিক মানের সাথে সেগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায়। তবে পরিবর্তনগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে।
সবশেষে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষিত করতে চাই এবং আমরা শিক্ষিত করব, আমাদের নারী-পুরুষ এবং ছেলে-মেয়েদের।