শুকনো কাশি মানেই কী করোনা?
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নিজের বিষাক্ত ছোবল বসিয়েছে সময়ের সঙ্গে মহামারিতে রূপ নেওয়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, শুকনো কাশিসহ গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা এই মরণব্যাধির প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়া খুব কম মানুষেরই ডায়রিয়া, বমি এবং নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো উপসর্গ দেখা গেছে।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো কয়েক দিনের মধ্যেই দেখা যায় না। প্রাথমিকভাবে মনে হয় সাধারণ ফ্লু হয়েছে। কোনো সংক্রামিত ব্যক্তি যখন বুঝতে পারে যে তার শরীরে করোনার ভাইরাস রয়েছে, ততক্ষণে সম্ভবত আরও কিছু মানুষকে তিনি সংক্রামিত করে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব জরুরি হয়ে পড়ে।
যেহেতু করোনা ভাইরাসের কমন উপসর্গ জ্বর এবং শুকনো কাশি তাই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় থাকতে হবে আরও বেশি সচেতন। তবে যদি আপনি সাধারণ ফ্লু এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য করতে চান তাহলে বলতে হবে, করোনার প্রধান উপসর্গ শুধুই শুকনো কাশি।
ঋতু বদলে যে সমস্যা দেখা দেয় সেই কাশি শুকনো হয় না। চিকিৎসকদের মতে, এই সংক্রমণে শুকনো কাশি দেখা দেয়।
শুকনো কাশি কাকে বলে?
* শুষ্ক কাশি একটানা হতে থাকে।
* এই জাতীয় কাশি গলা, চুলকানি বা জ্বলজ্বলে জ্বলন সৃষ্টি করতে পারে।
* শ্বাসতন্ত্রের ফোলাভাব বা জ্বালা প্রায়শই শুষ্ক কাশির কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
* ভেজা কাশির পরিবর্তে ফ্লু নিরাময়ের পরে শুকনো কাশি কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে।
* শুকনো কাশি সুস্থ হতে সময় নেয়। কখনও কখনও এটি একটি দীর্ঘ সময়ও লাগে।
ভেজা কাশির উপসর্গ কী?
# ভেজা কাশিতে শ্লেষ্মা থাকে।
# নাক এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসতে পারে।
# মূলত শ্লেষ্মা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক উপাদান।
# অনেক ক্ষেত্রে ক্লান্তি, মাথা ব্যথার মতো লক্ষণগুলোতেও ভেজা কাশি দেখা যায়।
শুষ্ক কাশি মানেই করোনার ভাইরাসের লক্ষণ নয়। তবে যদি আপনার শুকনো কাশির পাশাপাশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ার সমস্যা হয় বা আপনি সম্প্রতি যদি কোনো সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন কিংবা বিদেশ সফর করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।