শেখ রেহানাকে দিল্লির দাওয়াত, কোবিন্দ আসছেন ঢাকায়
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের এক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। আর বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আসছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, জন্মশতবর্ষ এবং এবারের বিজয়ের মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে একযোগে বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। এর অংশ হিসেবে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাকে। আগামী ৬ ডিসেম্বর সেখানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মারক বক্তৃতা’য় তার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স, আইসিডব্লিউএ। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগী এই প্রতিষ্ঠানটি দেশটির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি বিদেশি অতিথিদের বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধুর ওপরে স্মারক বক্তৃতামালার প্রথম সংস্করণে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শেখ রেহানাকে।
এই পদক্ষেপকে দ্বিপক্ষীয় কূটনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে কূটনৈতিক মহল। শেখ রেহানা আমন্ত্রণটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ না করলেও ইতিবাচক সাড়া মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী আয়োজক আইসিডব্লিউএ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হচ্ছেন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
আয়োজনের দিনটিও (৬ ডিসেম্বর) বেশ তাৎপর্যপূণ, একাত্তরের এই দিনে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয় ভারত। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘মৈত্রী দিবস’ পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপনে যোগ দিবেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। এ উপলক্ষে তাকে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। গত ৫০ বছরে এদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতীয় কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথম তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন কোবিন্দ।
এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাতে অংশ নিতে চলতি বছরের মার্চে ঢাকা সফর আসেন তিনি। সে সময় ঢাকার রাজপথে মোদিবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয় এবং তাতে সহিংসতায় প্রাণহানিও ঘটে।