ভাইরাল

“সত্যটা আমার নেত্রীর কানে পৌঁছানো হচ্ছে না”

অ্যান্টিবডি পজিটিভ থাকার পরও গুজব সৃষ্টিকারীদের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। কিন্তু কাদের কথা শুনে, কী উদ্দেশ্যে আমাকে আটকে রাখার মতো অবস্থা করা হয়েছে বুঝতে পারছি না।

‘আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কান পর্যন্ত এসব গুজব পৌঁছালে এক মুহূর্তও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে না রেখে, আমাকে মানুষের সেবায় পাঠিয়ে দিতেন তিনি। উনার কাছে সত্যটা পৌঁছানো হচ্ছে না।’ কথাগুলো বলছিলেন নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসা করোনা চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

গত রবিবার (৭ জুন) বিকেলে বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের বিমান বন্দরে পৌঁছান তিনি। এর পরই তাঁকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তাঁর অভিযোগ অ্যান্টিবডি পজিটিভ থাকার পরও তাঁকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অথচ তাঁর সঙ্গে আসা ১২৮ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। একই দেশের যাত্রী, একই দেশে আসা সবার ক্ষেত্রে এক নিয়ম আর তার ক্ষেত্রে ভিন্ন।

ফেরদৌস বলেন, আদরের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের ফেলে রেখে কেন আমি বাংলাদেশে এসেছি? এসেছি বাংলার মানুষের পাশে থাকতে। করোনা থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে আমার নেত্রী রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ঠিক আমিও চেয়েছি নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে, করোনাকালে আমার অবস্থান থেকে একটু হলেও মানুষের সহযোগিতা করতে। কিন্তু দেশে আসার পর দেখলাম তারা আমাকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আত্মীয়-স্বজন বানিয়ে ফেলল; তারেক জিয়ার ডোনার আর ছাত্রদলের ক্যাডার বানিয়ে ফেলল- যা পুরোপুরি অসত্য এবং মিথ্যা গুজব।

ফেরদৌস আরো বলেন, ‘আমার দলের ভেতরেই একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে, মিথ্যাচার করে আমাকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু সত্য চাপা থাকে না, সূর্যের আলোর মতো গণগণ করে উঠবেই এবং উঠেছে।’

ফেরদৌসের প্রশ্ন, কেন এইসব গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হলো? আমার বাংলাদেশে আসার খবরটি কারা মেনে নিতে চাচ্ছে না? তারা কেন চায় না আমি করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবা করি। তবে সত্য চাপা থাকে না, সত্য বেড়িয়ে আসছে।

ফেরদৌস দুঃখ করে বলেন, ‘দেখুন, আমার কাছে এখন একেকটি সেকেন্ড খুবই মূল্যবান। ১৪ দিন মাঠে কাজ করতে পারলে অনেক রোগীকে সেবা দিতে পারতাম, মানুষের জন্য কাজ করতে পারতাম। কিন্তু আমি একজন চিকিৎসক, মানুষের সেবা দিতে আমি অভ্যস্ত, এখানে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার সময়গুলো নষ্ট করবেন না, প্লিজ আমাকে মানুষের সেবা করতে দিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 12 =

Back to top button