ঢাকা শহরে যারা অবৈধভাবে বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন স্থাপনা করেছেন, সেগুলো আর রাখতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ক্ষোভের সঙ্গে মেয়র বলেন, “সবকিছুই কিন্তু অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের লাইন অবৈধ, ইলেকট্রিক লাইন অবৈধ, বিলবোর্ড অবৈধ, সাইনবোর্ড অবৈধ, রাস্তার মধ্যে যত ধরনের রড, সিমেন্ট, বালি সবই অবৈধ শুধু তাই নয় হাসপাতালগুলো চিকিৎসা ও পরীক্ষার নামে মানুষের কাছ থেকে ‘ডাকাতির মত’ পয়সা নিলেও নিজেদের চিকিৎসাবর্জ্য ঠিকমত ব্যবস্থাপনা করছে না জানিয়ে শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরুর তাগিদ দিয়েছেন ।
সারা দেশের চিকিৎসা বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সভায় কথা বলেন আতিক। এ সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসও উপস্থিত ছিলেন। “এটা কিন্তু আর হতে দেওয়া যাবে না মাননীয় মন্ত্রী। তাই আজকের মিটিং থেকে একটা মেসেজ দেওয়া দরকার যারা অবৈধভাবে একটার পর একটা কাজ করে যাচ্ছে তাদের জন্য মেসেজ।”
অভিযানে নামার পর এখন অনেকই বিলবোর্ডের বিল দিতে চাচ্ছে জানিয়ে আতিক বলেন, আমার মনে হয় এ রকম সমন্বিতভাবে অভিযান দারকার, “ অভিযানের কোনো বিকল্প নেই।”
হাসপাতালগুলো বিভিন্ন সেবার বিপরীতে বেশি বিল আদায় করলেও নিজেদের চিকিৎসাবর্জ্যগুলো ঠিকমত ব্যবস্থাপনা করছে না , এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলেও মনে করেন মেয়র । মেডিকেল বর্জ্যটা সাইলেন্ট কিলার, আমাদের কিল করে দিচ্ছে কিন্তু। বর্জ্যগুলোকে কোন জায়গায় ফেলব, কোথায় রাখব, এসব শৃঙ্খলার মধ্যে আনা দরকার”, বলেন আতিক ।
তিনি বলেন, “তারা বিল নেবে কিন্তু তাদের বর্জ্যগুলো কি ঠিকমত ফেলছে? তারা তাদের বর্জ্যগুলো ঠিকমত ফেলছে না, এটি মনিটরিং করা হচ্ছে না। যত্রতত্রভাবে তারা তাদের বর্জ্যগুলোকে…।
“আমি নিজে দেখেছি, আমার কাছে ছবি আছে যে বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট করার পরে ইউরিন, ব্লাড, স্টুলের স্যাম্পল রাস্তার উপর ফেলে দিয়েছে, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এটিই হল বাস্তবতা। তাই ক্লিয়ার মেসেজ দেওয়া দরকার, কোনো ধরনের বর্জ্য রাস্তায় তো ফেলার প্রশ্ন ওঠে না… আইনকেও তারা বৃদ্ধাগুলি দেখাচ্ছে।”
কবে থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোকে যার যার চিকিৎসাবর্জ্য ফেলতে হবে, সেই তারিখ বেঁধে দেওয়ার ছাড়া অন্য বিকল্প নেই বলে মত দেন মেয়র আতিক।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আজকের মিটিং থেকে ডেট নির্দিষ্ট করে দিন। আমি দেখেছি সরকারি হাসপাতালোর পেছনে খোলা জায়গায় তাদের বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে, এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
“সরকারি হাসপাতালই যদি করে, আমি তো অন্য হাসপাতালের কথা বললাম না, উনারা পোড়ান না আবার, উনারা লুকিয়ে লুকিয়ে কখন যে অজান্তে কোন খালেবিলে ফেলে দেয় তাও কিন্তু আমরা জানি না।
“আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা অনেক বড়লোক হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু তারা তাদের নিয়ম মেনে চলছে না, তাদেরকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে।”