সমুদ্র দূষণের জরিমানা বাড়িয়ে ৫ হাজারের পরিবর্তে ৫ কোটি!
সমুদ্র দূষণে শাস্তি বা জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস করা হয়েছে। সামুদ্রিক সীমানায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের কাজকে এই আইন সহজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ রোববার, ২৮ নভেম্বর, ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস (সংশোধন) বিল, ২০২১’ শীর্ষক বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়।
বিলটি উত্থাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। সমুদ্র দূষণের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বনিম্ন ২ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এর আগে একই অপরাধের জন্য ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
এ ছাড়া এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন, কনটিগুয়াস জোন এবং কন্টিনেন্টাল শেলফে অপরাধের জন্যও শাস্তির বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত আইনটিতে। একই সঙ্গে সাগরে অপরাধ ও ঘটনা প্রমাণের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভিডিও, ছবি, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের বিধানও।
প্রস্তাবিত আইনে ৩৫টি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিদেশি জাহাজ এবং সাবমেরিন প্রবেশের ক্ষেত্রে ফৌজদারি এখতিয়ার ও দেওয়ানি এখতিয়ারের বিধানও রয়েছে। এ ছাড়া রিমোট কন্ট্রোল বা দূর চালিত ডুবো যান, মনুষ্যবিহীন ডুবো যান এবং স্বচালিত ডুবো যানকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এই আইনে।
আইনে অর্থনৈতিক অঞ্চলকে এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এতে সমুদ্র আইন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশনের সংজ্ঞা অনুসরণ করা হয়েছে যাতে সামুদ্রিক সীমানা এবং এর সম্পদের ওপর নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা যায়।