প্রকৃতি ও জলবায়ূ

সমুদ্র দূষণে দায়ী হোটেল-হ্যাচারির তালিকা হচ্ছে

কক্সবাজারে সমুদ্র দূষণের জন্য দায়ী হ্যাচারি ও হোটেল-মোটেল চিহ্নিত করতে জরিপ কাজে নামছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। আগামী ১ আগস্ট থেকে এই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির রোববারের বৈঠকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজগুলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ তিন চেম্বার বিশিষ্ট সেপটিক ট্যাংক স্থাপনের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। হ্যাচারিগুলোকে বিষাক্ত পানি পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রে না ফেলার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
গত ২০ জুন অভিযুক্ত ২১৬টি হোটেল-মোটেল ও ২৪টি হ্যাচারিকে এক মাসের মধ্যে এসটিপি ও তিন স্তরবিশিষ্ট সেপটিক ট্যাংক স্থাপনের কাজ শুরু করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আবারও তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারে অবস্থিত হ্যাচারির দূষিত পানি পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রে ফেলা ও আবাসিক হোটেলের টয়লেটের ময়লাসহ সকল আবর্জনা সাগরে ফেলার কারণে সমুদ্রের পানি দূষিত হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।
মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, জিল্লুল হাকিম, আনোয়ারুল আশরাফ খান, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন ও বেগম ফরিদা খানম সংসদীয় কমিটির এ বৈঠকে অংশ নেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − ten =

Back to top button