জাতীয়

সরকারের নির্দেশনা পেলেই চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন

যেকোন সময় ট্রেন চালু করতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশনা পেলেই চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মেনে কিভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যে স্টেশনগুলোতে চলছে প্রস্তুতি।

এর অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজশাহী রেল স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গোল গোল করে বৃত্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ট্রেন চালু হলে যাতে করে স্টেশনে আসা যাত্রীরা টিকিট কাটার জন্য তিন ফিট দূরত্ব অবস্থান করতে পারেন।

রাজশাহী রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো.আব্দুল করিম বলেন, ‘স্টেশনে আসা যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাত্রীরা কিভাবে টিকিট নিবেন, কিভাবে স্টেশনে ঢুকবে এগুলোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগে বা পরে যদি সীমিত আকারে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা আসে তার জন্যই এমন প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। পরিবহন বিভাগ থেকে আমাদের প্রস্তুত থাকতে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রেন চালানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোন সিদ্ধান্ত পাইনি’।

ঈদে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে সেটিও সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পর। বর্তমানে আমরা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনা করছি। তাছাড়া কৃষকের পণ্য পরিবহনে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। তার জন্যই তো স্টেশনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সবসময়ই প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে’।

এর আগে রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও-ঢাকা) মো. শওকত জামিল মোহসী স্বাক্ষরিত বিভিন্ন স্টেশনে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের শর্তে ঈদুল ফিতরের আগে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের অনুমতি আসতে পারে।

ফলে অনবোর্ড পরিচালিত ট্রেনগুলোর দরজা-জানালা, হাতল, সিট, হেড বেল্ট কভার, টয়লেট, মেঝে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানকে খাবার গাড়ি সুষ্ঠুভাবে পরিচ্ছন্ন করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে।

ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহারে স্টেশনগুলোর মাইকে ঘন ঘন ঘোষণা দিতে হবে, বড় অক্ষরে লিখে কাউন্টারের সামনে সাঁটিয়ে দিতে হবে। ইস্যুকৃত টিকিটের ওপর ‘ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে’ মোটা সিল মেরে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। সর্বোপরি স্টেশনের দায়িত্ব পালনকালে প্রত্যেক কর্মচারীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। তাছাড়া কৃষকের পণ্য পরিবহনে গত ১ মে থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 7 =

Back to top button