সারাদেশে মসজিদে জোহর নামাজ আদায়
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের মসজিগুলোতে সীমিত সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ১২টি শর্ত সাপেক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জোহর থেকে নামাজ আদায় করা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেক কাতারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আগত মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের তাগিদ দেয়া হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক কাতার পর পর প্রত্যেক সারিতে ২০ জন করে মুসল্লি জোহর নামাজ আদায় করেন। সর্বমোট ১৫ কাতারে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। তুলনামূলকভাবে মুসল্লির উপস্থিতি খুব একটা বেশি ছিল না।
বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান। নামাজের আগে পেশ ইমাম মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর সঙ্কটকালে আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছি। এই মহামারী থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহপাকের কাছে পানাহ চাইতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনেই মসজিদে আসতে হবে। মসজিদসহ সর্বত্র যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে।
মসজিদের উভয় পার্শ্বের গেইট সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয়। জোহরের আজান দেয়ার সাথে সাথেই মসজিদের গেইট খুলে দেয়া হয়। এসময়ে বাইরে অপেক্ষমান মুসল্লিরা হুর হুর করে মসজিদে প্রবেশ করেন। অধিকাংশ মুসল্লির মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেননি। এর আগ থেকেই মসজিদে ধোয়া মোছার কাজ সম্পন্ন করা হয়। মসজিদের অজুখানায় ও প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। নামাজের আগেই স্যাভলন দিয়ে মসজিদ পরিস্কার করা হয়। বায়তুল মোকাররমে পরিচালক মো.রফিকুল ইসলাম এতথ্য জানান।
ইতিপূর্বে ভয়াবহ করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে সরকার গত ৬ এপ্রিল মসজিদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন খাদেমসহ ৫ জন মুসল্লি, জুমার নামাজে ১০ জন মুসল্লি এবং ২৩ এপ্রিল মাহে রমজানে দু’জন হাফেজসহ তারাবিতে সর্বোচ্চ ১২ জনের উপস্থিতিতে নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেয়। এতে সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে যেতে পারেননি।
বুধবার সুস্থ মুসল্লিদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচ ওয়াক্ত এবং তারাবির নামাজ জামাতে আদায় করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুমতির কথা জানানো হয়। মসজিদে নামাজের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক ১২ দফা শর্তাবলী মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে বাস্তবায়নে নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।