Breakingধর্ম ও জীবন

সাহাবি মুয়াজকে নবীজির ৪ উপদেশ

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে (ইয়ামানের শাসক হিসেবে) প্রেরণ করেন, তখন তিনি তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ।

সুতরাং তুমি তাদেরকে সর্বপ্রথম ‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল’ এ কথার সাক্ষ্য দেওয়ার আহ্বান জানাবে।

যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, আল্লাহ তাদের উপর প্রতি দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন।

তারা যদি এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাদের সম্পদের ওপর সাদকাহ (জাকাত) ফরজ করেছেন।

তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের থেকে জাকাত উসূল (আদায়) করে যারা দরিদ্র তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তুমি (জাকাত নেওয়ার সময়) তাদের উৎকৃষ্ট মাল নেওয়া থেকে দূরে থাকবে। আর অত্যাচারিতের বদদোয়া থেকে বাঁচবে।

কারণ, তার বদদোয়া এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা নেই (অর্থাৎ, শিগগির কবুল হয়ে যায়)। (বুখারি ও মুসলিম)

এই হাদিস থেকে যেসব শিক্ষা পাওয়া যায়-

>> আল্লাহর দিকে আহ্বানকারীদের প্রেরণ করা বৈধ।

>> আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই- এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া ওয়াজিব। মানুষকে সবার আগে এ কথার দিকেই আহ্বান করতে হবে।

>> কালিমা শাহাদাতের অর্থ হলো ইবাদাতে আল্লাহকে একক জানা তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত প্রত্যাখ্যান করা।

>> অনেক সময় মানুষ কালিমা শাহাদাত বলে; কিন্তু সে তার অর্থ জানে না অথবা জানে তবে সে অনুযায়ী আমল করে না, সে আহলে কিতাবীদের মতো।
আলেমদের সম্বোধন জাহেলদের সম্বোধন করার মতো নয়। অবশ্যই তুমি এমন সম্প্রদায়ের নিকট যাবে যারা আহলে কিতাব।

>> আল্লাহ তায়ালাকে বর হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর পর সবচেয়ে বড় ওয়াজিব হলো পাঁচ নামাজ আদায় করা।

>> নামাজের পর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান হলো জাকাত আদায় করা।

>> জাকাতের খাতগুলোর একটি অর্থাৎ- গরিবদের কথা বলা হয়েছে। শুধু তাদের দিলে চাইলে কোনো সমস্যা নাই। জাকাতের আটটি খাতের সবাইকে দেওয়া ওয়াজিব নয়।

>> জাকাতদাতার অনুমতি ছাড়া তার সম্পদের ভালো ভালো অংশ জাকাতের জন্য নেওয়া যাবে না।

>> কারো ওপর জুলুম করা যাবে না। জুলুম থেকে বেঁচে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে মাজলুমের দোয়া সহজেই কবুল করেন আল্লাহ তায়ালা, যদিও সে গুনাহগার হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =

Back to top button