Lead Newsঅপরাধ ও দূর্ঘটনা

সাহেদের মামলা তদন্তের দায়িত্বে র‌্যাব

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করবে র‌্যাব।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। প্রতারণা মামলাটি আজ র‌্যাবকে দেওয়া হয়েছে বাকি দুটি মামলার তদন্তভারও আমরা চাইব।

ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর গত ৭ জুলাই র‌্যাব-১ এর পরিদর্শক জুলহাস মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

শুরুতে মামলাটি থানা পুলিশের হাতে থাকলেও পরে তার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)।

গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার অপকর্মের প্রমাণ পাওয়ার কথা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন ডিবি কর্মকর্তারা।

সূত্র জানায়, রিজেন্টে অভিযান এবং সাহেদকে গ্রেফতারের কাজটি করা র‌্যাব শুরু থেকে এই মামলার তদন্তভার পেতে চাইছিল।

সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অস্ত্র ও জাল টাকার মোট তিনটি মামলা করা হয় উত্তরা পশ্চিম থানায়।

প্রতারণার মামলাটিতে রিজেন্ট হাসপাতালে ভুয়া করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন দেওয়া, রোগীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়াসহ নানা অনিয়ম গত ৬ জুলাই র‌্যাবের অভিযানে প্রকাশ্য হয়েছিল।

র‌্যাবের মামলায় বলা হয়, “এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ নিজেকে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে একজন ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু ও পাষণ্ড।”

মামলায় বলা হয়, কোনো রোগী প্রতারণার কথা বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করলে হুমকি দিতেন মোহাম্মদ সাহেদ।

দণ্ডবিধির ৪০৬/ ৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ও ২৬৯ ধারায় করা এই মামলায় অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাত বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সেই সঙ্গে জরিমানাও হতে পারে।

রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গ্রেপ্তারের পরদিন ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। বর্তমানে সাহেদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − three =

Back to top button