সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণঃ আদালতে তিন আসামীর দোষ স্বীকার
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় তিন আসামী সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম আদালতে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষ স্বীকার করেছে।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকালে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে তারা দোষ স্বীকার করেন। এর আগে রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও ঘটনা স্বীকার করে তারা।
পুলিশ জানায়, প্রথম দিকে তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপাতেই ব্যস্ত ছিলো। এ কারণে পুলিশ ধর্ষকদের খুঁজে চিহিৃত করতে তাদের ডিএন’র নমুনা সংগ্রহ করে। শুক্রবার সিলেটের আদালতে প্রথমেই নিজের দোষ স্বীকার করে মামলার অন্যতম আসামী অর্জুন। সে জানায়, বাইরে থেকে ওই মহিলাকে হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ভেতরে স্বামীকে আটকে রেখে গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে অর্জুন লস্করের পর সিলেটের আদালতের জবানবন্দি দেয় প্রধান আসামি সাইফুর রহমানও। সে আদালতেও ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনার মুল হোতা হিসেবে সে রাজন, আইনুদ্দিন ও তারেকের নাম উল্লেখ করেছে। রাতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রবিউলেরও। সেও একই ভাবে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে আদালত পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ তরুণী। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত যুবকেরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার আটক হওয়া তিন জনকেই সোমবার আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে দেয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্রাচার্য তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।