দেশবাংলা

সীমাহীন দুর্ভোগেও বাড়ি যেতে হবে তাদের

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে রোববার (১৮ মে) থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি বেড়েছে। নৌ রুটে লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

ঘাটে নেই কোনো গণপরিবহন বা মাইক্রোবাস। ঘাটে ফেরি ভিড়তেই শত শত যাত্রী গাদাগাদি করে নামছেন। দূরপাল্লার যাত্রীরা যানবাহন না পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন।

এদিকে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অধিক হারে। উভয় পাড়ে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চড়ে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া।

এতে বিশেষ করে নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়ছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ আর কয়েকগুণ টাকা খরচ করে বরিশাল, খুলনা, ভোলা, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ফিরছে মানুষ।

পিরোজপুরগামী যাত্রী আকলিমা বেগম বলেন, আমার দাদী মারা গেছেন। ঢাকা থেকে ভোরে রওয়ানা দিয়ে ঘাটে এসে পৌঁছেছি সকাল ৭টায়। ঘাট থেকে পিরোজপুর যেতে প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাবে। ঝুঁকি নিয়ে এভাবে আমরা তিনজন নারী যাত্রী ফেরি পার হয়েছি।

বরিশালগামী যাত্রী মোহাম্মদ আলী বলেন, ঢাকা থেকে কোনো রকমে এ পর্যন্ত আসলাম। কিন্তু মোটরসাইকেল আর ইজিবাইক ছাড়া কোনো যানবাহন ঘাটে নেই। এতে খুবই সমস্যায় পড়েছি। জরুরি প্রয়োজন না হলে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে বের হতাম না।

এদিকে ছোট যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩টি ফেরি চালু রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ম্যানেজার আব্দুল আলীম বলেন, এ রুটে ১৩টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। উভয় পাড়ে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =

Back to top button