এবার সুচির বিরুদ্ধে মিয়ানমার পুলিশের মামলা দায়ের
মিয়ানমারের ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে সেনাবাহীনির হাতে ব নেতা অং সান সুচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দেশটির পুলিশ। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার বন্দিত্ব জারি রাখার বিষয়েও আবেদন করেছে পুলিশ। দেশটির পুলিশের নথিপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে গত ১লা ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুচি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেদিন অং সান সুচি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির প্রেক্ষাপটে এসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। আর এর মধ্য দিয়ে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী প্রধান অং মিং হ্লাইংয়ের কাছে। একই সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য ঘোষণা করেছে জরুরি অবস্থা। সেনাবাহিনী মালিকানাধীন টেলিভিশনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ওদিকে রাজধানী ন্যাপিড এবং প্রধান বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে আরো মন্তব্যের জন্য ফোন করলে একজন সেনা মুখপাত্র কোন উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে গত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু নির্বাচনের পর সেনাবাহিনী ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। গত সোমবার নব-নির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হবার কথা থাকলেও সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো।
সেদিন সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। এনএলডি মুখপাত্র মিও নয়েন্ট রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে জানায়, প্রেসিডেন্ট মিন্ট এবং অন্য নেতাদের ভোরে আটক করা হয়। ”আমি জনগণকে বেপরোয়া কিছু না করার অনুরোধ করছি, আমি চাই তারা আইন মেনে চলবে,” মিও নয়েন্ট রয়টার্সকে বলেন।