সোনার চেয়ে ৩০ গুণ দামি চা!
চা নাকি সোনা- একটি বেছে নিতে বললে পাগল ছাড়া আর সবাই হলুদ বর্ণের পদার্থটিকেই কাছে টেনে নেবেন। এতে দোষের কিছু নেই। ওটার মূল্যই যে কথা বলছে। কিন্তু চীনের এক ধরনের চা এসব ধ্যান-ধারণায় কিছুটা বাগড়া বসিয়েছে। কারণ তারা দাবি করছে, তাদের চা নাকি সোনা থেকে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি দামি।
তারা সোজাসুজি বলছে, ওই চায়ের এক গ্রামের দাম সোনার এক গ্রামের দামের ৩০ গুণ। তাতে এক কাপ চায়ের দাম গিয়ে পড়ছে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের উয়ি পর্বতে উৎপাদিত বিরল জাতের এই চায়ের নাম ‘দা হোং পাও’।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিরল ও উৎকৃষ্ট ঔষধি গুণমানের জন্য দা হোং পাও-কে বলা হয় চায়ের রাজা। সারা বিশ্বের মধ্যে কেবল চীনেই এ ধরনের চায়ের গাছ আছে। আর সেখানেও এটি অফুরান নেই। আছে মাত্র ছয়টি গাছ। ২০০৬ সালে এই ছয়টি চা গাছের প্রায় ১১৭ কোটি টাকার বিমা করিয়েছে চীন সরকার। তিনশ বছর ধরে চীনে এই চায়ের চাষ হচ্ছে।
‘দ্য হোং পাও’-এর ১ কেজি চা পাতার দাম প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ কোটি ৮২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা! এটি আসলে জৈব চা।
উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন এই চায়ে আছে ক্যাফেইন, থিওফিলিন, পলিফেনলস ও ফ্ল্যাবোনয়েড। স্বাস্থ্যের পক্ষে এগুলো খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত। প্রতিদিন এই চা খেলে ত্বক ভালো থাকে। মাটির পাত্রে বিশুদ্ধ পানিতে এই চা বানাতে হয়। দামি এ চায়ের গন্ধও বেশ সুন্দর।