সোহাগ-এশার গায়ে হলুদ, বিয়ের অনুষ্ঠান ৯ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশরাত জাহান এশা ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিয়ের বিষয় নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন সোহাগ ও এশার পরিবারের সদস্যরা। এরপর প্রধানমন্ত্রীসহ দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সোহাগ তাঁর ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করেন।
পোস্ট করা ওই ছবির ক্যাপশনে সোহাগ লিখেছেন, ‘আমার অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের বিয়ের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঠিক করে দিয়েছেন। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা। Happy New year-2020।’ এরপর গতকাল তাদের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের টানা আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের মোর্শেদা নামের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর রক্তাক্ত পায়ের ছবিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবির সঙ্গে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে হলের মেয়েদের রগ কেটে দিয়েছেন এশা।
এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে হলের মেয়েরা তাঁকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। এরপর ছাত্রীরা এশাকে মারধর করেন এবং জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করেন।
তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ওই হলে গিয়ে এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। ওই রাতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এশাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান।
এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করে ছাত্রলীগ। পরে জানা যায়, মোর্শেদার পা কেউ কাটেনি, বরং এশার কক্ষের জানালার কাচে লাথি মারতে গিয়ে তাঁর পা কেটে যায়।
এরপর ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এশার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।
পরবর্তী সময়ে তিন দিনের মাথায় এশার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ওই সময় সংবাদ