বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে পরাজয়কে দলের জন্য ‘বড় ধাক্কা’ হিসেবে বিবেচনা করছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে এ হারের গন্ডি থেকে দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নরা ঘুরে দাঁড়াবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
কাতারে মঙ্গলবার সি’ গ্রুপের ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হবার পর ক্যাপ্টেন মেসি বলেছেন, ‘এটি একটি বড় ধাক্কা, কষ্টদায়ক একটি হার। তবে আমাদের নিজেদের উপর আস্থা আছে। আমাদের দল আর কাউকে ছাড় দেবে না। আমরা অবশ্যই পরের ম্যাচে মেক্সিকোকে হারাবো।’
এ ম্যাচের ১০ মিনিটে লিওনেল মেসির পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে পড়ে সৌদি আরব। বিরতি থেকে ফেরার পর সৌদির হয়ে পরপর দুই গোল করেন যথাক্রমে সালেহ আল-শেরি ও সালেম আল-ডসারি। বিশ^কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেয় মধ্যপ্রাচ্যেও সৌদি আরব। তবে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার আরো তিনটি গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে। দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরবের রক্ষনদূর্গ ভাঙতে ব্যর্থ হয় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
লিওনেল মেসি বলেন, ‘আমরা জানতাম সৌদি আরবের দলে বেশ ভালো কিছু খেলোয়াড় আছেন। তারা গোটা মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। আমরা তাদের রক্ষন ভাঙ্গার চেষ্টা করেছি। তবে কিছুটা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ১-২ গোলে পিছিয়ে পড়ি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারিনি। আমাদের পারফর্মেন্সের মান তখন নেমে যায়। এ সময় আমরা কিছুটা বেপরোয়া ভাবে খেলতে চেয়েছিলাম।’
আর্জেন্টিনা এই পরাজয় মেনে নিয়েছে উল্লেখ করে সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি বলেন, পরের ম্যাচে আমরা সঠিক পথে ফেরার বিষয়ে আশাবাদি। সেখানে কোন অজুহাত চলবে না। আমরা এযাবৎকালে আরো বেশী সংগঠিত হতে যাচ্ছি। আমাদের এই দলটি বেশ শক্তিশালী, যা ইতোমধ্যে আমরা প্রদর্শন করেছি। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। এখন আমাদের এটি প্রমানের সময় এসেছে যে, এই দলটি বেশ দক্ষ।’