ধর্ম ও জীবন

হজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতীক

হজ ইসলামের পঞ্চম ও সর্বশেষ স্তম্ভ। শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ- এই তিন মাসকে হজের মৌসুম বলা হয়।

কুরআনে এসেছে, হজ সুপরিচিত মাসগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর যে ব্যক্তি এ মাসগুলোতে হজ করার নিয়ত করবেন, তার জন্য হজের সময় স্ত্রী সহবাস, অন্যায় আচরণ এবং ঝগড়া-বিবাদ করা বৈধ নয়।

আর তোমরা যে উত্তম কাজগুলো কর, আল্লাহ তা জানেন। তোমরা পাথেয় সংগ্রহ কর, নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উত্তম পাথেয় হচ্ছে আল্লাহভীতি। অতএব, হে বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণ- তোমরা আমাকেই ভয় কর (সুরা বাকারা: ১৯৭)।

পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লাখ লাখ খোদাপ্রেমিক মুমিন আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মক্কার জমিনে হাজির হয়ে থাকেন হজের মৌসুমে। হজ অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা।

বাইতুল্লাহ শরিফ ও অন্যান্য নির্দিষ্ট স্থানসমূহ আল্লাহর নৈকট্য লাভের লক্ষ্যে জিয়ারত করাকে হজ বলা হয়। সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ করা হয়েছে। হজ একটি অনন্য ফজিলত ও বরকতময় ইবাদত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম হাতিয়ার।

কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে তাদের মানত পূর্ণ করে ও তাওয়াফ করে প্রাচীন গৃহের (কাবার) (সুরা হাজ্জ-২৯)।

আরও এসেছে- নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম গৃহ, যা মানবমণ্ডলীর জন্যে নির্দিষ্ট (প্রতিষ্ঠা) করা হয়েছে; তা ঐ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত। ওটা সৌভাগ্যযুক্ত (বরকতময়) এবং সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য পথপ্রদর্শক (সুরা ইমরান: ৯৬)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − one =

Back to top button