আন্তর্জাতিক

হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদ ঘোষণা করায় ‘কষ্ট’ পেয়েছেন পোপ

তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরে তুরস্কের নেওয়া সিদ্ধান্তে ‘খুবই কষ্ট’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

রোববার খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান এই ধর্মযাজক এ ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছেন। এর আগে অমুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারাও তুরস্কের সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ভক্তদের উদ্দেশে দেওয়া সাপ্তাহিক ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘ইস্তাম্বুল নিয়ে আমার চিন্তা হচ্ছে। আমি সান্তা সোফিয়ার চিন্তা করছি এবং আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।’

এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, হায়া সোফিয়ায় প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ জুলাই। তুরস্কের ঐতিহাসিক এই স্থাপনা জাদুঘর হিসেবে পরিচিত ছিল। একদিন আগে দেশটির একটি আদালত প্রসিদ্ধ এই স্থাপনার জাদুঘরের মর্যাদা বাতিল করে মসজিদে রূপান্তরে আদেশ জারি করেন।

ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অব চার্চেস হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থডক্স খ্রিস্টানদের আধ্যাত্মিক নেতাদের ইস্তাম্বুলভিত্তিক বৈশ্বিক সংগঠন প্যাট্রিয়ার্ক বার্থোলোমিউ তুরস্কের এই সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে।

এরদোয়ান বলেছেন, প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো হাজিয়া সোফিয়া মুসলিম, খ্রিস্টান এবং বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যা এক সময় খ্রিস্টানদের ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তিনি বলেছেন, হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরে তুরস্ক সার্বভৌম অধিকারের চর্চা করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =

Back to top button