Lead Newsদেশবাংলা

হিলি বন্দরে পানির দামে পেঁয়াজ!

পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বন্যা ও উৎপাদন সংকট দেখিয়ে হঠাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। রপ্তানি বন্ধের পর ভারতের অভ্যন্তরে টানা ৫ দিন দাঁড়িয়ে থাকে দুই শতাধিক পিয়াজ বোঝাই ট্রাক। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাকে ২৪৬ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি হয়। আর এসব পিয়াজ অতিরিক্ত গরমে বেশির ভাগ পচে গেছে। পচা পিয়াজ রাখা হয়েছে হিলির বিভিন্ন আড়তের সামনে। এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী।  এদিকে আড়াই হাজার টাকা দামের পিয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১শ টাকা দরে। এরপরেও কিনছেন না অনেকে। কেউ কেউ ফেলে দিচ্ছেন বস্তাসহ পিয়াজ। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

আড়ৎগুলোতে দেখা যায়, শনিবার ভারত থেকে আমদানিকৃত পিয়াজগুলোর বেশির ভাগ গরমে পচে গিয়ে পানি ঝরছে। দুর্গন্ধ ছড়ানোয় রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের। অন্যদিকে লোড-আনলোড এর কাজ করতেও অনিহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। আর পচা পিয়াজ প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১শ টাকা দরে। যার স্বাভাবিক বাজার মূল্য আড়াই হাজারের বেশি।

এদিকে, পিয়াজ আসার পর হিলি স্থলবন্দরের খুচরা ও পাইকারী বাজারে কমলেও দিনাজপুরের বাজারে এলসি পিয়াজ প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা এবং দেশী পিয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।  

কষ্টের সাথে কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, ‘চাইলাম পিয়াজ দিলো পানি।’ 

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার বন্যার কারণে উৎপাদন সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে করে টেন্ডারসহ এলসিকৃত পিয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ৫ দিন পিয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর শনিবার ভারত সরকার টেন্ডার হওয়া ১১টি ট্রাকে মোট ২৪৬ মেট্রিকটন পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেন এবং তা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করে। তবে যে সব পিয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে তার ৫০ শতাংশ পিয়াজ অতিরিক্ত গরমে পচে গেছে। এসব পিয়াজ প্রতি বস্তা ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং একটু ভালো মানের পিয়াজ প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 5 =

Back to top button