স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

১০০ টাকার ঔষধে সারবে করোনা – ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

অকারণে ওষুধ-টষুধের পেছনে ঘুইরা লাভ নাই। পয়লা তাকে একটা টেস্ট করাইতে হবে। যদি টেস্ট পজেটিভ হয়, তখন (প্রাথমিক অবস্থায়) ছোট সিম্পটম (উপসর্গ) থাকে। একটু জ্বর থাকে, সর্দি-কাশি থাকে। তাকে ৭০ পয়সার প্যারাসিটামল খেতে হবে। ৭ টাকায় ১০টা প্যারাসিটামল। গরম পানি খেতে হবে। আর কিছু করতে হবে না। তার নাক দিয়ে যদি পানি পড়ে, তাহলে এন্টিহিস্টামিন খেতে হবে।

গণস্বাস্থ্যে সেটার দাম ৫০ পয়সা। আর গরম পানি খেতে হবে, কোনো ঠাণ্ডা খাওয়া চলবে না।
আর আলাদা থাকতে হবে। কোনোক্রমেই পরিবারের সাথে থাকা চলবে না। তাহলে সে পরিবারকে আক্রান্ত করে দেবে। এটাই হলো বড় কাজ।
তারপর যদি দেখা যায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। ডাক্তার যদি দেখেন অক্সিজেন লাগবে, তা দিয়ে দেবে। আর দুটা করে প্রতিদিন #ডক্সিসাইক্লিন খাবে ৬ দিন। করোনা চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা খরচ হবে।
আমার কথা হলো, যদি জীবনী শক্তি থাকে, যে সুবিধা আমি পেয়েছি, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিক যেন পায়, তার জন্যে আমি কাজ করতে চাই। সেটাই আমি জনগণকে অবহিত করতে চাই। #অকারণে ৫০ হাজার টাকার ইনজেকশন নেয়ার কোনো মানেই হবে না। #রেমডেসিভির গ্রহণ করা বোকামি কাজ করা হবে।
এটার কোনো লাভ নাই। যত দ্রুত টেস্ট করা যাবে, আলাদা থাকা যাবে এবং খুব অল্প দামের ওষুধটা খেতে হবে। তাহলেই কোনো ভাবনা নাই।
আর আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা পরে পরেই গরম পানি খেতে হবে। কখনও কখনও মধু, মধু খেলে গলার খসখসানিটা কমিয়ে দেয়।
আরও একটা জিনিস রিকমেন্ট (সুপারিশ) করি- ভিটামিন সি উইথ ডি। এটা গণস্বাস্থ্যে আছে। ওটার বোধহয় দাম ৩ টাকা করে পড়ে। প্রতিদিন ৪টা করে ট্যাবলেট খেলে ওটা মানুষের প্রতিষেধক শক্তি বাড়ায়। তো সবকিছু মিলে ১০০ টাকার বেশি খরচ নাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + eight =

Back to top button