বিচিত্র

১১ পুরুষকে বিয়ে করলেন এই সুন্দরী!

বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। যেখানে মনেরও মিল থাকা জরুরি। তবে একজনকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন নারী কিংবা পুরুষ। যদিও অনেক পুরুষদেরই একাধিক বিয়ে করতে দেখা যায়। তবে নারীদের নয়।

গল্পে কিংবা সিনেমায়ও কখনো একসঙ্গে বহুবিবাহ করতে দেখা যায় না। আগের দিনে রাজাদের অনেক রানি ছিল তা ঠিক। তবে এখন এমন একজনের গল্প বলবো, যার বাস্তব জীবন হার মানায় সিনেমাকেও।

ভারতের নয়ডা’য় বসবাসরত ২৮ বছরের মেঘা ভার্গব। সোনম কাপুর অভিনীত হিন্দি ছবি ‘ডলি কে ডোলি’র গল্পই যেন উঠে এসেছে মেঘা ভার্গবের জীবনে। একের পর এক ১১ জনকে বিয়ে করে মেঘা। আর প্রতি ক্ষেত্রেই বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই স্বামীর সোনা-দানা, টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দেয় সে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

অবশেষে ভারতে নয়ডা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে মেঘা। পুরনো দিনের বাংলা সিনেমায় সন্ধ্যা রায় অভিনীত ‘ঠগীনি’ ছবির গল্পও মনে করাবে মেঘা ভার্গবের কীর্তি।

লোরেন জাস্টিন নামে ভারতের কোচির এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান যে, তার নববিবাহিত স্ত্রী ১৫ লাখ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে একা লোরেন নয়, এরকমই কোনো এক রহস্যময়ীর ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ১১ জন ব্যক্তি। মাস দুয়েক ধরে তদন্ত চালিয়ে শেষ পর্যন্ত নয়ডার ১২০ নম্বর সেক্টরের আম্রপালি জোডিয়াক সোসাইটি থেকে কোচি ও নয়ডা পুলিশের মিলিত অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় মেঘা ভার্গবকে। মেঘার সঙ্গে এই জালিয়াতির খেলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বোন প্রাচী এবং বোনজামাই দেবেন্দ্র শর্মাকেও।

খবরের কাগজ ও মেট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে খুঁজে এমন পাত্র পছন্দ করত মেঘা, যারা ধনী অথচ বিয়ের বাজারে খুব একটা কদর নেই। যেমন ডিভোর্সি বা শারীরিক ত্রুটিসম্পন্ন বা চেহারা সুন্দর নয়। মেঘা নিজে যথেষ্ট সুন্দরী হওয়ায় এসব পাত্রদের নিজের প্রেমে ফেলতে তার মোটেও সময় লাগত না। এরপর বিয়ে।

বিয়ের পর সুযোগ বুঝে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি নিয়ে চম্পট দিত সে। এরপর নতুন শিকারের সন্ধান শুরু হত। পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর মেঘার অবশ্য দাবি, যে সে স্বামীদের ছেড়ে পালাতো না। বরং সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে দু-পক্ষের বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়েই সে বেরিয়ে আসত। সূত্র ডেইলি বাংলাদেশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 11 =

Back to top button