Lead Newsপ্রকৃতি ও জলবায়ূ

২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় শূন্যে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত

বিশ্বের শতাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা কপ২৬ সম্মেলনের প্রথম চুক্তি হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

এবারের চুক্তি মোতাবেক বনাঞ্চলের স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে বা ফিরিয়ে আনতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৪ বিলিয়ন অর্থাৎ এক হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল গঠন করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি সংস্কারে, দাবানল নিয়ন্ত্রণ ও আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর সুরক্ষায় ব্যয় করার জন্য এই তহবিলের কিছু অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোও পাবে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জয়ের বলসোনারো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে থাকছেন। ব্রাজিল, কানাডা, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এই চুক্তিতে থাকছে। পৃথিবীর প্রায় ৮৫ শতাংশ বনভূমি এই চার দেশেই রয়েছে।

এ ছাড়া, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্তৃত ঘন বন অ্যামাজন ব্রাজিলে। দেশটি সম্প্রতি বন উজাড়ের মাত্রা কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিয়েছে।

বন উজাড় কমাতে বিশ্বনেতাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে এ বিষয়ে ২০১৪ সালে করা চুক্তিটি প্রায় ব্যর্থ হয়েছে বলে সতর্ক করে বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান।

বনের গাছ কেটে ফেললে জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। কারণ এতে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণকারী বন উজাড় হতে থাকে।

বন উজাড় থামানোর এই চুক্তির অংশ হিসেবে ২৮টি দেশের সরকার পাম তেল, সয়া এবং কোকোয়ার মতো খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দেবে। এসব শিল্প ফসল উৎপাদনের জন্য বনভূমি উজাড় করে থাকে।

এ ছাড়া, বিশ্বের ৩০টিরও বেশি বড় কোম্পানি বন উজাড় হয় এমন সব প্রকল্প বিনিয়োগ না করার ঘোষণা দেবে।

অন্যদিকে, কঙ্গো বেসিনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রপিক্যাল রেইনফরেস্ট রক্ষায় তহবিলের ১১০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =

Back to top button