প্রকৃতি ও জলবায়ূ

৩৫ বছর পর মুক্তি পাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ হাতি ‘কাভান’

৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের চিড়িয়াখানায় বন্দী থাকা হাতিটি অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ এই হাতির নাম কাভান।

হাতিটির মুক্তির জন্য কাজ করা পশু কল্যাণ সংগঠনটি জানায়, কাভানকে ইসলামাবাদের চিড়িয়াখানা থেকে মুক্ত করে উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

ফোর পজ নামক সংগঠনটির মুখপাত্র মার্টিন বাউয়ার বলেন, ‘হাতিটিকে খুব সম্ভবত কম্বোডিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে উপযুক্ত পরিবেশ ও সাহচর্য খুঁজে পাবে কাভান। তার স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।’ 

গত শুক্রবার চিড়িয়াখানাতেই কাভানের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলে জানান বাউয়ার। 

গত মে মাসে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও শোচনীয় অবস্থার জন্য মারঘাজার চিড়িয়াখানা বন্ধের নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের হাইকোর্ট। চিড়িয়াখানাটির এই শোচনীয় অবস্থা থেকে হাতিটিকে মুক্ত করার কাজে বিশ্বজুড়ে অনেক পশু অধিকার কর্মী ও সেলিব্রিটি কাজ করেন। জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা শের-ও কাভানের স্থানান্তরের কাজে ভূমিকা রাখেন।

বাউয়ার এক বিবৃতিতে জানান, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুটি সিংহের জন্য উদ্ধার কাজ দেরীতে শুরু হয়। জুলাইয়ের শেষের দিকে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সময়েই তারা মারা যায়।’

তিনি জানান, তারপরই ইসলামাবাদ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বোর্ড ফোর পজকে বাকি প্রাণীদের স্থানান্তরের কাজে নিযুক্ত করে।

শুক্রবারের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা যায়, কাভান একই সাথে অপুষ্টি ও স্থুলতায় ভুগছে।  বছরের পর বছর অনুপযুক্ত সংকীর্ণ জায়গায় থাকার কারণে তার নখে ফাটল ধরেছে।

বাউয়ার জানান, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে এতোটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে, স্থানান্তর প্রক্রিয়ার জন্য কাভান যথেষ্ট শক্তিশালী, তাই কম্বোডিয়ার বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হবে।’

শোচনীয় অবস্থায় দিন কাটানো ছাড়াও ২০১২ সালে সঙ্গীকে হারিয়ে কাভান একদমই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এই অবস্থায় থাকার কারণে হাতিটির মধ্যে কিছু ব্যবহারজনিত সমস্যাও দেখা যায়।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও পশুচিকিৎসকরা ফোর পজ এর এই কাজের সাথে নিযুক্ত।

তবে, কাভানকে ঠিক কবে স্থানান্তর করা হবে এই তথ্য জানানো হয়নি। ২০১৬ সাল থেকেই পশু অধিকার কর্মীরা কাভানের স্থানান্তরের জন্য চেষ্টা করছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − ten =

Back to top button