রাজনীতি

৪০ মিনিট চেষ্টা করেও ভোট দিতে ব্যর্থ আ. লীগ প্রার্থী

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে গিয়ে জটিলতার শিকার হয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষার পরও ভোট দিতে পেরেননি তিনি।

শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে লেকসার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান শফিউল ইসলাম। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনি ভোট দিতে পারেননি। ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে বাইরে রাখা প্রার্থীর গাড়ি থেকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসা হয়। এতেও কাজ হয়নি। মেশিন বন্ধ করে চালু করা হয়। নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার কাছে থাকা অন্য একটি কার্ড দিয়েও চেষ্টা করেন। টিস্যু দিয়ে আঙুল মুছে ম্যাচ করানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেও কাজ হয়নি। অন্য আরেকটি মেশিনেও চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কাজ হয়নি।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, নিরাপদ মনে না করলে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার প্রয়োজন নেই। তিনি আরো জানান, সাংবিধানিক বাধ্য বাধকতার কারণেই নেয়া হচ্ছে ভোট।

সারাদেশে করোনা আতংকের মধ্যেই শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ঢাকা-১০ আসনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম। যারা ভোট দিতে এসেছেন তাদের মধ্যেও নানা শঙ্কা।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দাবি, অনেকটা বাধ্য হয়েই দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তারা জানান, আমি নিজেই গ্লাভস নিয়ে এসেছি, অফিসিয়ালি কোনো গ্লাভস আমরা পাইনি। তবু প্রশাসনের দেয়া দায়িত্ব পালন করতে আমরা বাধ্য। তবে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টা আসলে নির্বাচন কমিশনের উপরই বর্তায়।

এদিকে সকাল সাড়ে নয়টায় ধানমণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি এখানে প্রহসন হচ্ছে নিয়মের নামে।

পরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল ইসলাম, ভোট চাওয়া আমাদের কাজ, অভিযোগ করলাম আর আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন করলাম, তা তো হলো না।

এদিকে, করোনা ভীতি থাকলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্যই ভোটের আয়োজন বলে জানান নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। এ সময় রফিকুল ইসলাম বলেন, আতঙ্ক যাতে না ছড়ায় সে জন্যই ভোট বন্ধ হয়নি। মানুষ বাজারে যাচ্ছে, ভোট দিতে আসলে কী সমস্যা।

তিনি বলেন, অনিরাপদ মনে করলে ভোটকেন্দ্রে আসার দরকার নেই। ভোটার ভোট দিতে বাধ্য নয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা-১০ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। ১১৭ কেন্দ্রের ৭৭৬ কক্ষে ভোট দেবেন ভোটাররা। প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৮ জন নিরাপত্তা সদস্য।

এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় ঢাকা-১০ আসনটি গত ২৯ ডিসেম্বর শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এদিকে একইভাবে গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। তবে এ দুই আসনের ভোট নেয়া হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =

Back to top button