টাঙ্গাইলের বাসাইলে দুই বছর আগে নির্মিত ১৩ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কালভার্ট হেলে পড়েছে। তবে এটি সংস্কার বা নির্মাণকাজে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বরং পাশেই আরেকটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কাঞ্চনপুর-নাটিয়াপাড়া ভায়া হালুয়াপাড়া গ্রোথ সেন্টার থেকে কাজিরাপাড়া সড়কের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ১৩ দশমিক ১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থ কালভার্টটি নির্মাণের কাজ শেষ করে মেসার্স এসকে টিম্বার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
কালভার্টটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। সড়ক সংযোগ করতে খরচ হয় ৫৩ লাখ টাকা। সড়ক মেরামত করতে খরচ হয় ৬০ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর কালভার্টের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কালভার্ট নির্মাণকাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে। নির্মাণের দুই বছর যেতে না যেতেই গেল বর্ষায় হেলে পড়েছে কালভার্টটি। পরে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া কালভার্ট নির্মাণের সময় এর এ্যাপ্রোচ থেকে ১৮০ মিটার পাকা সড়ক সংযুক্ত করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৫৩ লাখ টাকা। এরই মধ্যেই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনরায় সড়ক মেরামতের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উপজেলা এলজিইডি।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ খান প্রথমসারির অনলাইন নিউজকে বলেন, সেতুর পরিবর্তে কালভার্ট নির্মাণ করায় সেখানে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নির্মিত কালভার্টটি গত বর্ষায় হেলে পড়েছে। বর্তমানে কালভার্টটি পরিত্যক্ত। কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম হয়েছিল। তা না হলে এত তাড়াতাড়ি হেলে পড়ত না।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাজেদুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কালভার্ট ও ১৮০ মিটার পাকা সড়ক ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছরের মাথায় বন্যার পানির স্রোতে কালভার্টটি হেলে পড়েছে। কালভার্ট তৈরিতে কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি। এখানে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।