Lead Newsকরোনাভাইরাসজাতীয়

৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়ে মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে

দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) জোহরের নামাজের পর থেকে শর্ত সাপেক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ ও তারাবিহ পড়া যাবে। তবে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হবে।

সামাজিক দূরত্ব মেনে কাল থেকে সব মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামীকাল জোহরের নামাজ থেকে মসজিদে সব ধরণের নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লীরা।

শর্ত সাপেক্ষে তারাবিসহ সব নামাজ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে।

শর্তসাপেক্ষে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে)। আজকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র সময় সংবাদকে জানিয়েছে।

সূত্রটি জানায়, বৃহস্পতিবার জোহর থেকে দেশের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মসজিদে জামায়াতের ক্ষেত্রে শর্ত দুইজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া দুই কাতার পর এক কাতারের জায়গা ফাকা রাখতে হবে।

এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে জারি করা হবে।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়, পবিত্র রমজানে স্টাফ ছাড়া অর্থাৎ খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেমরা ছাড়া কেউ মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন না। ঘরেই নামাজ আদায় করতে হবে।

তার আগে ৬ এপ্রিল করোনায় সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘরেই সব নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে পাঁচটি দফা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ব্যতীত অন্য সব মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক পাঁচজন ও জুমার নামাজে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের মুসল্লি মসজিদের ভেতরে  জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও ধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিবর্তে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করতে হবে।

এতদিন ওই নির্দেশনাটিই বলবত ছিল। তারাবির জন্যও একই নির্দেশনা মানা হচ্ছিল।

তবে এবার মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে মুসল্লিদের জন্য। যদিও জামায়াতে মুসল্লিদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং দুই কাতারের মাঝে এক কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + eleven =

Back to top button