৭০ লাখ টাকায় নির্মিত সেতুটি স্থানীয়দের জন্য মরণফাঁদ
সেতুর সঙ্গে রাস্তার সংযোগ না থাকায় লংগদু উপজেলায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি অকেজোই বলা যায়। সেতুটি যেন স্থানীয় জনগণের জন্য মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।
রাঙ্গামাটির ঐ উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি বাজারের খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
আট বছর ধরে পানি মাড়িয়ে ও মইয়ের সহায়তা নিয়ে তারা সেতুটি পারাপার হচ্ছে। আটারকছড়া ইউনিয়নের ডানে আটারকছড়া ও ইয়ারিংছড়িসহ কাছাকাছি কয়েকটি গ্রামে ৭-৮ হাজার পাহাড়ি ও বাঙালির বসবাস। রাস্তা ও সেতু না থাকায় তাদের উৎপাদিত পণ্য বিশেষ করে জুমে উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে নিতে কষ্ট হয়। এতে তাদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
কখনো মাথায়, কখনো কাঁধে করে পণ্য পরিবহণ করতে হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও রোগীদের অসহনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ দুর্ভোগ কমাতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
আটারকছড়া ইউনিয়নের ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে সংযোগ সড়কসহ সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক বা রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ না হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ রয়েই গেছে।
সাঁতরিয়ে ও মই দিয়ে ৭-৮ ফুট উপরে উঠে সেতু পার হতে হচ্ছে এলাকার লোকজনকে। লংগদু আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় না করে অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করায় সেটি জনগণের কোনো সুফল আনতে পারেনি। এ ব্যাপারে প্রকৌশলী এরশাদুল মন্ডলের দোষ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফিরোজা বেগম চিনু ও রহিমা খান।
এ ব্যাপারে জানতে এরশাদুল মন্ডলের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্র“ চৌধুরী বলেন, “ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। আগামী অর্থবছরে কাজগুলো শেষ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।’