৮ হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে করেনাভাইরাস মোকাবেলায় দুই হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি বেশ কিছু হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করি এবং তাদের সুস্থতা কামনা করি। এ অবস্থায় যেহেতু নতুন নতুন হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত করছি এবং বেশ কিছু চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন দুই হাজার চিকিৎসক এবং ছয় হাজার নার্স আমরা নিয়োগের ব্যবস্থা করছি। আমরা আশা করি এই নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা আরও জোরদার হবে।’
এ সময় ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরির খবর সঠিক নয় বলে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যায় ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে এমন খবর। বিষয়টি সঠিক নয়। সরকার এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা করেনি।
সবার জন্য একই হাসপাতাল এবং একই চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আহ্বান জানাব কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো ধরনের বিবৃতি দেবেন না। যার কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং যা সরকারি নীতি বহির্ভূত। কোনো হাসপাতালই লকডাউন করা হয়নি এবং করা হবেও না। অন্যান্য হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা বজায় আছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনের হিসাবে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে ২১৫ জন চিকিৎসক, ৬৬ জন নার্স ও ১৮৮ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, দেশে চিকিৎসকসহ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ৭৮ হাজার ৩০০ জন। এরমধ্যে চিকিৎসক পদে রয়েছেন ২৭ হাজার ৪০৯ জন।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল, বিডিএমসির হিসাবে দেশে রেজিস্টার্ড নার্সের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৭৩৪ জন।