কর্পোরেট

৯০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা নেয়ার দাবি নাকচ ই-ক্যাবের

সরকারের কাছ থেকে ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা নিয়েছে বলে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে সেই দাবিকে নাকচ করেছে ই-ক্যাবের নেতৃবৃন্দ।

ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ প্রতিবেদনে ‘সরকারি সহায়তার বিষয়টি নাকচ করে, ই-ক্যাবকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদ করা হয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বিগত ২৪ আগষ্ট বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদ ই-ক্যাবের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।  বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় সংবাদটি প্রেস রিলিজের বরাত দিয়ে ছাপা হলেও “প্রেস রিলিজ’’ আঁকারে না ছেপে ‘‘নিজস্ব প্রতিবেদক’’ ও ‘‘জৈষ্ঠ প্রতিবেদক’’ পর্যায়ে প্রতিবেদন বা সংবাদ আঁকারে ছাপা হয়েছে এবং ই-ক্যাবের কোনো বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেস রিলিজ এর বরাতে “ই-কমার্সের নৈরাজ্যের দায় ই-ক্যাব নেতাদেরও’’ এধরনের কিছু শিরোনামে প্রেস রিলিজ  এর বিষয়ে ই-ক্যাব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে”।

উক্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ” প্রকাশিত সংবাদগুলোতে বলা হয়েছে “আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা নিয়েছে।’’ ‘‘বিভিন্ন মাধ্যম’’ কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে পারেনা। তাছাড়া সরকার কেন বা কোন নিয়মে কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে ৯০০ কোটি টাকা দিবে? সরকার কোনো খাতের ব্যবসায়ীদের এতটাকা দিলে সেটা নিশ্চই গোপন থাকতো না। আর যাচাই-বাছাই ব্যতিরেকে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হলে স্বার্থান্বেষী মহল গণমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

প্রতিবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “সংগঠনের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ চাঁদা দিতে হয়’’। ‘‘বিপুল পরিমাণ’’ শব্দটা কোনো তথ্য হতে পারে না। ই-ক্যাবের ওয়েবসাইটে এর মেম্বারশিপ ফি উল্লেখ করা আছে। যে কেউ দেখে নিতে পারে। বর্তমানে ই-ক্যাবের বার্ষিক কোনো আইটি এসোসিয়েশন এর চেয়ে অনেক কম। মানে যে তথ্য প্রেস রিলিজে লিখা হচ্ছে  তা জানার কোনো প্রয়োজন সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মনে করেনি।

২০১৮ সালে ডিজিটাল কমার্স পলিসিতে কারিগরি কমিটি গঠন, নির্দেশিকা তৈরী ও এসক্রো ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় প্রস্তাবনার মাধ্যমে ই-ক্যাবই যুক্ত করেছিল। গত বছর  ই-ক্যাব একটি প্রতিষ্ঠান বিষয়ে তদন্ত সে প্রতিবেদন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে প্রদান করেছে। ‘‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’’ চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করছে।

অভিযোগ থাকলে সেটা চিঠি দিয়ে বা আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা যেত। সেজন্য ই-ক্যাবের দরজা সবার জন্য খোলা রয়েছে। তা না করে কেউ উদেশ্য প্রনোদিতভাবে ভূয়া তথ্য দিয়ে প্রেস রিলিজ পাঠানো কোনো পেশাদার এসোসিয়েশন এর কাজ হতে পারেনা। এ ধরনের তথ্যের কারণে কোনো অস্থিরতা দেখা দিলে তার দায় কে নিবে?”

বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার কেবল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, সমাধান নয়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে ক্রেতা, প্রকৃত ই-কমার্স উদ্যোক্তা ও ইন্ডাস্ট্রির পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ই-ক্যাব।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 10 =

Back to top button