৯৯৯ এ ফোন প্রাণ বাঁচালো গৃহবধূর
পুলিশের ইমার্জেন্সি ৯৯৯ নাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে স্বামীর মার থেকে রক্ষা পেলেন শাহনাজ আক্তার নামের এক গৃববধূ। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে নজরুল নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ মঙ্গল গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুর শাহনাজ আকতারকে মারধর ও গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। তাদের কবল থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ আহতাবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী নেয়ামুল কিবরিয়া ও শ্বশুর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহত গৃহবধূর পরিবার জানায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ শাহানাজ অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে চরফ্যাশন উপজেলা চরকলমী ইউনিয়নের মাইনউদ্দিনের ছেলে নেয়ামুল কিবরিয়াকে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভী স্বামী তার পরিবারের কাছে থেকে যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। সম্প্রতি মেয়ের সুখের কথা ভেবে তার পরিবার নেয়ামুলকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়। ফের স্বামী নেয়ামুল বিদেশ যাওয়ার নামে আরোও পাঁচলাখ টাকা দাবি করে।
এ নিয়ে তার দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। যৌতুক লোভী স্বামীর দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে একাধিকবার মারধর করেন। ইতিমধ্যে স্বামী নেয়ামুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঁখি নামে এক তরুণীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে চলতি বছর গোপনে তাকে বিয়ে করে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে সংসার থেকে বিতাড়িত করতে স্বামী নেয়ামুল কিবরিয়া ও শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ তার ওপরে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে।
বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এসময় দ্বিতীয় স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয়ার নামে ফের স্বামী তার দাবীকৃত পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বললে তিনি স্বামীর দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এসময় স্বামী পরিবারের সদস্যদের সাথে তার ঝগড়া শুরু হয়। এর জের ধরে স্বামী পরিবারের সদস্য স্বামী নেয়ামুল কিবরিয়া ও শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ মিলে তাকে মারধর করে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলেও তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন। পরে তিনি ৯৯৯ নাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত নেয়ামুল কিবরিয়ার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।