রাজনীতি

বহিরাগতদের ঝেঁটিয়ে বিদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগে যারা অনুপ্রবেশকারী আছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন নানক।

এ সময় নেতাকর্মীদের সাবধান করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতিতে দুই ধরনের লোক আছে। কেউ কন্ডিশনাল আবার কেউ আন-কন্ডিশনাল। যারা কন্ডিশনাল নেতা হবেন তাঁরা পিছন দরজা দিয়ে আসবেন এবং লুটপাট করে কামাই করে চলে যাবেন।’

‘দলের কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের জায়গা দিতে হবে। এ জন্য দলের কমিটিতে জামায়াত ইসলামী করে এমন শালা-সম্বন্ধী, মামা-ভাগ্নে, চাচা-ভাতিজা এদের জায়গা দেওয়া যাবে না। এরা বহিরাগত। এদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন।’

আওয়ামী লীগকে বহুভাবেই নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘কিন্তু তারা সেটা পারে নাই। কারণ কোনো চেরাগ থেকে, সেনানিবাস বা অন্য কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের অন্তরে-অন্তরে আছে। আর সেই চেতনা থেকেই আওয়ামী লীগের জন্ম। কাজেই আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন নানক। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আটটি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে যান, সূত্র এনটিভি অনলাইন।

বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আপনারা এ দেশে খুনের ও লুটের রাজনীতির শুরু করেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের পুরস্কৃত করেন। সাহসী শেখ হাসিনা এসে এর বিরোধিতা করেন এবং তাদের বিচার করেন।’

আজ হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিনকে কেন্দ্র করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোলের কথা উল্লেখ করে আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, ‘আপনারা হট্টগোল করে আদালতের রায় জোর করে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতে আপনাদের পুরোনো চরিত্র আবারও ফুটে উঠেছে।’

স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কবুতর উড়িয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। পরে কাউন্সিল অধিবেশনে দেওয়ান কামাল আহমেদকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মোমতাজুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজ্জাম্মেল হক, নীলফামী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোমতাজুল হকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 11 =

Back to top button