Lead Newsসম্মান ও স্বীকৃতি

‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননায় ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

নিউ ইয়র্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় মর্যাদাপূর্ণ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে ইউনিসেফ হাউজে ‘অ্যান ইভনিং উইথ প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল- ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।শেখ হাসিনা এই সম্মাননা বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল মানুষ ও শিশুদের উৎসর্গ করেন।

তিনি বলেন, ‘এই সম্মান আমার একার নয়… এটি বাংলাদেশের, কারণ বাংলাদেশের জনগণ আমাকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছেন। এ কারণেই আমি তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি…এই সুযোগের জন্য আমি এই সম্মান অর্জন করেছি।’

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, লাখ লাখ তরুণ তাদের দক্ষতার সঙ্গে আমাদের জীবন ও জীবিকা নির্বিঘ্ন করে চলেছে। একটি দায়িত্বশীল ও জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠন করতে আমাদের অবিচল পদক্ষেপেরও প্রকাশ করে এই স্বীকৃতি।

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে যুবকদের সম্ভাবনা কাজে লাগানো ব্যতীত দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়। আমরা জ্ঞানসম্পন্ন একটি তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়তা করতে পারবে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি উল্লেখ করেন, সরকার দক্ষতা উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করেছে এবং যুবকদের যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতায় গড়ে তোলার করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। যুবসমাজকে নিজ নিজ কর্মসংস্থানের জন্য যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

‘আমরা তাদের নিজ নিজ কর্মসংস্থানের জন্যও উৎসাহ দিচ্ছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য ইউনিসেফকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত এবং দেশের ক্রিকেট আইকন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই শিশুদেরকে নীতিমালার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে বাংলাদেশ। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, শিক্ষায় শিশুদের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্কুলে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই প্রচেষ্টায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই ক্রিকেট সুপারস্টার আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন, সরকারের নীতি ও কর্মসূচি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সাম্য এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্জনে আরও ভূমিকা রাখবে।

সরকার প্রধান হিসেবে অসামান্য স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান সাকিব।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + eleven =

Back to top button