করোনাভাইরাসতথ্যপ্রযুক্তি

ভেন্টিলেটর তৈরিতে এগিয়ে এসেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান

ফুসফুসকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে করোনাভাইরাস; যাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঠিক মতো রক্তে পৌছাচ্ছে না। রোগীকে ভুগতে হচ্ছে তীব্র শ্বাসকষ্টে।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের প্রতি ছয়জনে একজনের তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যে যন্ত্রটি রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে সাহায্য করে সেটি ভেন্টিলেটর। ইউরোপের এমন কোন দেশ নেই যেখানে ভেন্টিলেটর সংকট নেই-একই অবস্থা অ্যামেরিকাতেও। স্বল্পআয়ের দেশগুলোতে যে ভেন্টিলেটরের সংকট থাকবে, এটি চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।

করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর, যখন ভেন্টিলেটর গুরুত্ব আর সংকটের বিষয়টি সামনে এলো, তখন বিশ্বজুড়ে ব্যাক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে ভেন্টিলেটর তৈরি হচ্ছে। নান্দনিকতার চেয়ে বরং সংকট মোকাবিলায় চলনসই ভেন্টিলেটর তৈরিই এখন প্রধান কাজ।

বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার। তাদের বানানো ভেন্টিলেটর এখনও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। এটি হলে দিনে অন্তত ১০০টি এমন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর তৈরি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।

এমন আরও একটি প্রতিষ্ঠান ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে দেশে পাওয়া যায় এমন যন্ত্রব্যবহার করে। এক্সিওন ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশনের স্বাক্ষর, শুভ, কিংশুক, কাব্য এই চার তরুণ তাদের ভেন্টিলেটরটির নাম দিয়েছেন স্পন্দন। এই ভেন্টিলেটরটিও অনুমোদনের অপেক্ষা আছে। তবে নির্মাতারা আত্মবিশ্বাসী করোনায় তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে তাদের ভেন্টিলেটরটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ১৬ কোটি মানুষের দেশ-বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ভেন্টিলেটর আছে ১ হাজার ২৫০টি।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two − 2 =

Back to top button