করোনায় আক্রান্ত তিনশ’ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী
করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে কেবল চিকিৎসকই আছেন ১৭০ জন। বাকিরা নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তাঁরা আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ মানহীন সুরক্ষা পোশাক, একটানা ডিউটি করা, আবাসন ও খাবারসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা।
এগুলো রাজধানীর একটি হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য সরকারীভাবে দেয়া সুরক্ষা পোশাক বা পিপিই। যার কোনটাই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানের নয়।
বৈশ্বিক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসকরা। তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ চিকিৎসকদের। এরমধ্যেই একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ১৭০ জন চিকিৎসক কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩ জন, ময়মনসিংহে ৭ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, রংপুরে ৩ জন, খুলনায় ৩ জন, বরিশালে ৬ জন এবং সিলেটে ১ জন। বিএমএ’র হিসাবে সোমবার পর্যন্ত ৫১ জন নার্স এবং ১০৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বৈশাখী টেলিভিশনকে জানান করোনা রোগীদের সেবার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয় হীনতাই এর জন্য দায়ী।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন এর দপ্তর সম্পাদক ডাক্তার মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, চিকিৎসকদের একটানা ডিউটি করাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তিনি বেসরকারী হাসপাতালগুলোকেও কোভিড নাইনটিন রোগীর চিকিৎসার আওতায় আনতে বলেন।
বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক নিরুপম দাশ বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসকদের জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল, সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং একটি ক্লিনিক্যাল কমিটি থাকতে হবে।
এছাড়া, দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালে আলাদা ফ্লু কর্নার করার প্রস্তাব দেন তিনি।