সাংবাদিক খোকনের মৃত্যু করোনাতেই!
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মারা যান দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবির খোকন৷ পরে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়৷
এই তথ্য জানিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ। এদিকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সূত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইইডিসিআর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে সেটি জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে বলে রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তারিক শিবলী জানিয়েছেন।
ঢাকার উত্তরার ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে মৃত্যু হয় দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক খোকনের। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় তখনই চিকিৎসকরা তার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহের কথা বলেছিলেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহেদ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা রাতেই নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম, ভোরে আমাদের জানানো হয়েছে, তার করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে।”
হুমায়ুন কবির খোকনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদ নগরে। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে রেখে গেছেন।
তাদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে জানিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা শিবলী বলেন, “আমাদের ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।”
সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার হাবিব রহমান জানান, গত ১৫ দিন ধরে বাসা থেকেই অফিস করছিলেন খোকন।
মঙ্গলবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা দেখা দেয়। এরপর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ৯টার দিকে তাকে রিজেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে ভর্তির সময়ই এই সাংবাদিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ডাক্তাররা চেষ্টা করলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। হাবিব বলেন, “খোকন ভাইয়ের মৃতদেহ ইতোমধ্যে মুরাদনগরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই দাফন হবে।”