ঈদে বাড়ি ফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ!
করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদ উদযাপনে এবার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি কর্তৃপক্ষ।
প্রিয়জনদের সাথে ঈদের ছুটি কাটাতে প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহর থেকে সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাতায়াত করে থাকেন।
দীর্ঘদিন ধরে এটি চলমান থাকায় বর্তমানে তা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়ানোর কারণে এইবারের লকডাউনেও ঈদের ছুটি কাটাতে শহরের লোকজন গ্রামের বাড়ি যেতে পারেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
আর এজন্য করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রিয়জনের সাথে ঈদের ছুটি কাটাতে প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহর থেকে সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাতায়াত করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এটি চলমান থাকায় বর্তমানে তা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়ানোয় এবারের লকডাউনেও ঈদের ছুটি কাটাতে শহরের লোকজন গ্রামের বাড়ি যাবেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শুরুতেই এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিপূর্বে সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে গণপরিবহন বন্ধ না করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করার ফলে লাখো মানুষ ঢাকা ছাড়ার দৃষ্টান্ত আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আবার গণপরিবহন বন্ধ রেখে দুই দফা গার্মেন্ট, কল-কারখানা সীমিত আকারে চালু করতে গিয়ে শত শত কিলোমিটার পায়ে হেঁটে শ্রমিকদের কর্মস্থলে যাতায়াতের দৃশ্যও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বহু দেশে ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমাদের দেশেও জরুরি ভিত্তিতে ঈদে বাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তাদের স্ব-স্ব এলাকায় নগর ফেরত কোন লোকজন যাতে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
একই সাথে ব্যক্তিগত যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে ঈদে লোকজনের যাতায়াত বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর অনুরোধ জানান মোজাম্মেল হক চৌধুরী।