Lead Newsআন্তর্জাতিক

আসুন দারিদ্র্য দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করি: গুতেরেস

সমাজের প্রান্তিক মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করা না হলে কাউকে পেছনে না ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সফলতা ‘অধরা’ থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৭ অক্টোবরের আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১ (দারিদ্র্য বিমোচন) এবং সব শিশু, তাদের পরিবার ও সমাজের জন্য কাজ করা এক ন্যায্য বিশ্বায়ন অর্জনে পুনরায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।’

এ বছর দিবসটি পালনের লক্ষ্য হচ্ছে ‘দরিদ্রতা অবসানে শিশু, তাদের পরিবার ও সামাজের ক্ষমতায়নের জন্য একসাথে কাজ করা।’

গুতেরেস বলেন, এসডিজি অর্জন ও সবার জন্য এক টেকসই ভবিষ্যত বিনির্মাণে বিশ্বের প্রচেষ্টার কেন্দ্রে রয়েছে চরম দারিদ্র্যের অবসান।

তিনি জানান, বড়দের তুলনায় শিশুরা দ্বিগুণের বেশি চরম দারিদ্র্যে বাস করে।

‘দরিদ্রতা অনেক শিশুর জন্য আজীবনের মতো অনগ্রসরতার শাস্তি বয়ে আনে এবং বঞ্চনা অপসারণের মধ্যবর্তী সময়কে দীর্ঘায়িত করে তুলে। সেই সাথে আমরা যদি এখনই প্রয়াস বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হই তাহলে আজকের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে বেঁচে থাকবে,’ বলেন গুতেরেস।

তিনি বলেন, সংঘাতের এলাকা থেকে সাইবার জগৎ, জোরপূর্বক শ্রম থেকে যৌন শোষণ, মেয়েরা আছে বিশেষ ঝুঁকিতে, কিন্তু পরিবর্তনের জন্য তারাও এক শক্তি।

‘একটি মেয়ের প্রতিটি বাড়তি বছর স্কুলে থাকার ফলে, তার পুরো জীবনের আয়ের গড় বৃদ্ধি পায়, কম বয়সে বিয়ে হাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায় এবং তার সন্তানদের জন্য সুস্পষ্টভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ হয়। যা একে পরিণত করে দারিদ্র্যের চক্র ভেঙে দেয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে,’ বলেন তিনি।

গুতেরেস বলেন, শিশুদের দরিদ্রতা আবসানের অন্যতম উপাদান হলো পরিবারে দরিদ্রতা নিরসন করা। এখন থেকেই প্রায়শই দরিদ্রতার ডালপালা গজায়।

জাতিসংঘ প্রধান উল্লেখ করেন যে মানসম্পন্ন সামাজিক সেবাগুলো পাওয়াকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু আজও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শিশু সামাজিক সুরক্ষার অভাবে আছে।

‘পরিবার-ভিত্তিক নীতিমালাও অপরিহার্য, যার মধ্যে রয়েছে নমনীয় কাজের ব্যবস্থা, বাবাদের ছুটি ও শিশুদের দেখাশোনা করার সুবিধা,’ বলেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + seven =

Back to top button