আন্তর্জাতিককরোনাভাইরাস

কারোনার অভিজ্ঞতা জানালেন বরিস

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ওই সময় বাঁচিয়ে রাখতে ‘লিটার লিটার অক্সিজেন’ দেয়া হয়েছিল বলে রোববার ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জনসন।

লন্ডনের সেইন্ট টমাস হাসপাতালে কাটানো এক সপ্তাহ তার মধ্যে অন্যদের দুর্ভোগ বন্ধ করা ও যুক্তরাজ্যকে ফের ‘সাফল্যের ধারায় ফিরিয়ে আনার’ আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে দেয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২৬ মার্চ জনসনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিন রাত তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকতে হয়।

সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জনসন তার ওই অভিজ্ঞতাই তুলে ধরেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

“মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে আমার শরীর খারাপ হয়ে ওই পর্যায়ে চলে গিয়েছিল এটি বিশ্বাস করা কঠিন,” সানকে বলেন তিনি।

“পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেলে কী করতে হবে চিকিৎসকরা তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল।”

‘অসাধারণ সেবার’ কারণেই তিনি সুস্থ হতে পেরেছেন বলে জনসন জানান। এখনও ভুগতে থাকা অন্য অনেকের তুলনায় নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলেই অনুভব করেছেন, এমনটিও জানিয়েছেন তিনি।

বলেছেন, “আর এই কারণে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘অন্যদের দুর্ভোগ থামানোর বিষয়ে আমার মধ্যে কী কোনো আকাঙ্ক্ষা জেগেছে?’ হ্যাঁ, পুরোপুরি।

“তবে আরেকটি প্রবল আকাঙ্ক্ষাও আমাকে চালিত করছে, তা হল আমাদের দেশকে আবার সাফল্যের ধারায় ফিরিয়ে আনা, ফের স্বাস্থ্যবান করে তোলা, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে চলা আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা এটি পারবো।”

আইসিইউতে মনিটরের সঙ্গে যুক্ত থাকা ও ‘ইন্ডিকেটরগুলোর উল্টো দিকে যাওয়া অব্যাহত আছে’ দেখা কঠিন ছিল বলে সংবাদপত্রটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।

“পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ছিল, এটি অস্বীকার করবো না,” দেওয়া উদ্ধৃতিতে এমনটাই বলেছেন তিনি আর নিজেকে প্রশ্ন করে গেছেন, “আমি কীভাবে এ থেকে বের হবো?”

জনসন এই সাক্ষাৎকার দেয়ার আগে তার বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ডস জানিয়েছেন, তারা তাদের সদ্যোজাত ছেলের নাম রেখেছেন উয়িলফ্রেড ল্যরি নিকোলাস জনসন।

এই নামের মাধ্যমে তাদের দাদাদের ও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থাকাকালে যে দুই চিকিৎসক জনসনকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে বলে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন সিমন্ডস।

জনসন আইসিইউ থেকে ছাড়া পাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পর গত বুধবার তাদের এ সন্তানটির জন্ম হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 2 =

Back to top button