বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে (এপিএল) ফিক্সিং চেষ্টার অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন আফগানিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ শফিক।
২০১৯-২০ মৌসুমে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন এই ক্রিকেটার। রবিবার এক বিবৃতি দিয়ে শফিকুল্লাহ শফিককে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
শুধু বিপিএল নয়, ২০১৮ সালের আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগেও একই কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন শফিক। তার বিরুদ্ধে আনা সবকটি অভিযোগ তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
সর্বশেষ বিপিএলে খুবই বাজে পারফরম্যান্স ছিল সিলেট থান্ডার দলটির। ১২ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা সিলেট থান্ডারের এই আফগান ক্রিকেটারই অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বড় ধরনের সাজা পেলেন। তার পারফরম্যান্সও ছিল জঘন্য। তিন ম্যাচ খেলে মাত্র ১৮ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ইনিংটি ছিল ১০ রানের। বাকি দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ ও ২ রান। ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার দেশের হয়ে ২৪টি ওয়ানডে ও ৪৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্যই ছিলেন তিনি। গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষেও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি চট্টগ্রামে। তাতে ২৩ রান করে ছিলেন অপরাজিত।
দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল শফিকের বিরুদ্ধে চারটি নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফিক্সিং কিংবা যেকোনওভাবে তাতে প্রভাব রাখা, ঘরোয়া ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ খেলা, ম্যাচে কোনও কাজ করার জন্য ঘুষ গ্রহণ কিংবা গ্রহণে সম্মত হওয়া, তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টাসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ।
তার বিরুদ্ধে ধারা ২.১.১,ধারা ২.১.৩,ধারা ২.১.৪,এবং ধারা ২.৪.৪ ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এসিবির সিনিয়র দুর্নীতি দমন ম্যানেজার সাইদ আনোয়ার শাহ কোরায়শী বলেন, ‘এটা সেই সব খেলোয়াড়দের জন্য সতর্কবার্তা যারা মনে করে তাদের অনৈতিক কাজ এসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট প্রকাশ করবে না। যা ভাবা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি আমাদের নজরদারি।’