ক্রিকেট ছাড়া যেন জীবন যাপনই কঠিন হয়ে গেছে উল্লেখ করে যত দ্রুত সম্ভব খেলায় ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
জুয়াড়ির তথ্য গোপন করায় আইসিসি কর্তৃক এক বছরের স্থগিতসহ দু’বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশের সেরা তারকা সাকিব বলেন যেখানে শুরু করেছিলাম নিষেধাজ্ঞা শেষে সেখান থেকে শুরু করাটা বড় চ্যালেঞ্জ।
যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবে চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেছানো না হলে, তার টুর্নামেন্ট মিস করার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু টুর্নামেন্ট যদি নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হয়, তবে দলের সেরা খেলোয়াড়কে নিতে আইসিসিকে বোঝাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)।
নিষিদ্ধ হবার আগে, সাকিব তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলেন এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফরমেন্স করে নতুন নজির স্থাপন করেন।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব। যার মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে ৫০০ এর বেশি রান ও ১০ উইকেট শিকারের ইতিহাস সৃষ্টি করেন তিনি।
ডয়েচে ভেলের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমি ক্রিকেটে ফিরতে চাই। এই সময়টি কখন শেষ হবে, আমি তা ভাবছি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, আমি যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকে শুরু করতে পারি কী-না। আমার নিজের প্রত্যাশা পূরণ করাও আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আগে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব নিতে প্রস্তুত সাকিব। যদিও দলের দায়িত্ব নিতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন সাকিব। কিন্তু বিসিবি তার উপর আস্থা রেখেছিলো।
তবে দলে ফিরে আবারো নেতৃত্ব দিবেন কী-না সাকিব, সেটিই দেখার বিষয়।
অবশ্য সাকিব, এ ব্যাপারে সোজাসুজি কোন উত্তর দেননি। কোন সিদ্বান্ত নেয়ার আগে, প্রথমে ক্রিকেট মাঠে ফেরার ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন সাকিব।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, প্রথম বিষয়টি হলো, আমার নিজের প্রত্যাশা পূরণ করা। আমি যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকে শুরু করতে চাই। এরপরে আমি অন্যান্য বিষয়ে সিদ্বান্ত নিবো।