ধর্ম ও জীবন

জুয়ার আসর ভেঙ্গে জাপানে নির্মান হচ্ছে সর্ববৃহৎ মসজিদ

জাপানে জুয়ার আসর ভেঙ্গে নির্মান হচ্ছে সর্ববৃহৎ মসজিদ। টোকিও শহরের ঠিক গা ঘেঁষেই সাইতামা প্রিপেকচারের কোশিগায়া সিটির গামো স্টেশন এলাকায় একটি অত্যাধুনিক বড় জুয়ার আসর (পাচিঙ্কু) ভেঙ্গে তৈরী করা হচ্ছে দৃষ্টি নন্দন সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্স।

এই জুয়ার আসর পাচিঙ্কুর ভবনসহ জায়গাটি ক্রয় করতে প্রায় ১৮ কোটি জাপানি ইয়েন বা ১৬ লাখ ৬২ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। টোকিও শহর থেকে গামো স্টেশন ট্রেনে ২০ মিনিট।

গামো স্টেশন থেকে ১০ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে অত্যাধুনিক এই মসজিদ কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হচ্ছে। প্রায় দেড় হাজার স্কয়ার মিটার আয়তনের এই বিশাল কমপ্লেক্সটি কার্যক্রম শুরু হলে এটি হবে জাপানের সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্স। এখানে একসাথে অর্ধ শতাধিক গাড়ি পার্কিং করা যাবে। এছাড়াও প্রয়োজনে আশপাশে আরো শতাধিক কয়েন গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

এখানে থাকছে শিক্ষা, গবেষণা, অতিথিদের আবাসন ও ইসলামি সংস্কৃতি বিনিময়ে ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ও দাওয়াতি বিভাগ। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ বিশেষ করে জাপানিরা ২৪ ঘন্টা ইসলামি সংস্কৃতি ও মুল্যবোধ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এখানে একসাথে প্রায় ২ হাজার লোক নামাজ আদায় করতে পারবে। সেইসাথে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের বিশাল স্টেশন। প্রবাসী মুসলমান বিশেষ করে বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় জাপান সরকার অনুমোদিত সর্ববৃহৎ এ ইসলামিক সেন্টারটি সারা জাপানব্যাপী দাওয়াহ কার্যক্রমের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।

এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স’। শিগগিরই বিশাল এ মসজিদটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। পরে আর্থিক সামর্থ ও সময় নিয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা রয়েছে। জাপানের সর্ববৃহৎ মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জাপান। জানা যায়, বিশাল এ মসজিদের কার্যক্রমের পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষা, কুরআন গবেষণা, জাপানিজদের জন্য সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক স্কুল, পূর্ণাঙ্গ হিফজুল কুরআন মাদরাসা চালু করা হবে।

এছাড়া ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান, ইসলাম ও বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর সেমিনার-সিম্পুজিয়াম, শিশু ও বড়দের পৃথক কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম ও জাপানিদের জন্য ইংরেজি ও জাপানি ভাষায় ইসলামি জ্ঞান লাভের বিশেষ বিভাগ থাকছে।এছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রবাসী মুসলিম কমিউনিটিকে সংগঠিত করে তাদের মাঝে প্রকৃত ইসলামী জীবন বিধানের দায়িত্বানুভূতি জাগিয়ে তোলার সুমহান ব্রত নিয়ে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।পাশাপাশি সামাজের কল্যাণমূলক বিভিন্ন ধরণের সামাজিক কাজ বাস্তবায়ন করবে। মসজিদ কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে যা থাকছে- অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত দোতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে পুরুষ-নারীদের জন্য পৃথক অজুখানা ও ৫ ওয়াক্ত নামাজের ব্যবস্থা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − four =

Back to top button