Lead Newsকরোনাভাইরাসশিল্প ও বাণিজ্য

বাংলাদেশেই তৈরি হবে ভাইরাসরোধী কাপড়!

সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বশে এনে অর্থনীতির চাকা সচলের চিন্তায়। ঠিক সেই সময় তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আর সেই দেশ হলো আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

আর তাক লাগিয়ে দেওয়া কাজ করেছে দেশের বস্ত্র খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জুবায়ের। প্রতিষ্ঠানটি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

এ কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ। ফলে ওই কাপড়ে করোনা ভাইরাসসহ অন্য কোনো ভাইরাস টিকতে পারবে না। যদি কোনোভাবে কোনো ভাইরাস ওই কাপড়ে লাগে, মাত্র ১২০ সেকেন্ডে ওই কাপড় ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাসমুক্ত হবে।

জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা করানো ভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করতে যাচ্ছি। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশপাশি বিদেশে রফতানি করা হবে।’

বস্ত্র খাতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এ কাপড় উদ্ভাবিত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোও এ কাপড় তৈরিতে এগিয়ে আসবে বলেও আশাবাদী তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার অনল রায়হান বলেন, সাধারণ সব ধরনের পোশাক তৈরিতে ভাইরাস প্রতিরোধক এ কাপড় ব্যবহার করা যাবে। তবে বিশেষায়িত কাপড় হওয়ায় এ কাপড়ে তৈরি পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হবে। জাবের অ্যান্ড জুবায়ের রপ্তানির জন্য এ কাপড় তৈরি করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে তাদের এ কাপড় আন্তর্জাতিকভাবে মান সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। আইএসও ১৮১৮৪-এর অধীনে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কাপড় তৈরির মূল উপাদানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিষাক্ত পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন ও পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থায় নিবন্ধিত। ভাইরাস রোধে এ কাপড় প্রায় শতভাগ নিরাপত্তা দিলেও ২০ বার ধোয়ার পর এর কার্যকারিতা কতখানি থাকবে, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরও এই কাপড় নেওয়ার ব্যাপারে ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কাপড় উদ্ভাবনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। উদ্বোধনের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের প্রয়োজনে সরকার এ কাপড় ব্যবহার করতে চাইলে সরবরাহ করতে চায় তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির কথা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

ডিএনসিসির প্রথম মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আতিকুল। সেই মেয়াদে প্রায় এক বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এদিকে ডিএসসিসির মেয়র পদে মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৬ মে। ফলে ১৭ মে দায়িত্ব নেবেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − three =

Back to top button