পাকিস্তান ক্রিকেটে বড় সমস্যা দুর্নীতি। দেশটির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়ান সেলিম মালিক। অপরাধের তালিকায় সবশেষ সংযোজন উমর আকমল। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করেছে পাক ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এর মাঝে ম্যাচ পাতানোয় জড়িয়েছেন মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ, সালমান বাট, শারজিল খানের মতো মেধাবী ক্রিকেটাররা। স্বাভাবিকভাবেই তাদের সেবা বঞ্চিত হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট। সবারই কিংবদন্তি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল।
গড়াপেটা যেন আষ্টেপৃষ্ঠে ধরেছে পাকিস্তানকে। বিষয়টি ভীষণ ভাবাচ্ছে দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে। ক্রিকেট বিশ্বে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে তার। সেভাবেই সমাদৃত হন তিনি। বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট নিয়ে বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।
এবার ফিক্সিং প্রতিরোধে অভিনব প্রস্তাব দিলেন রমিজ। ম্যাচ ফিক্সার ধরতে ‘লাই ডিটেক্টর’ (সত্য-মিথ্যা নির্ণয়ের যন্ত্র) ব্যবহার করতে বললেন তিনি। সাবেক পাক অধিনায়ক বলেন, আমি মনে করি–ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্টদের ফিক্সিংয়ের ইচ্ছা পরিমাপের যন্ত্র আছে। কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে যেমনটি তাপমাত্রা নির্ণায়ক মেশিন ব্যবহৃত হয়, তেমনই ‘লাই ডিটেক্টরের’ মাধ্যমে আমরা সহজেই কে বেটিং করতে যাচ্ছে- তার ব্যাপারে লাল সংকেত পেতে পারি।
সাধারণত খেলোয়াড়দের সচরাচর ডোপ টেস্ট করতে দেখা যায়। কোনো ত্রুটি থাকলেই সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন তারা। অবৈধ শক্তিবর্ধক কিছু ব্যবহার করলেই ধরা পড়ে। ঠিক একইভাবে ফিক্সার ধরতে লাই ডিটেক্টর ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রেও নিয়মিত সব ক্রিকেটারকে ডাকা হবে এবং তাদের মনোবাসনা জানা হবে।
তিনি বলেন, ‘লাই ডিটেক্টর’ ব্যবহার করা যেতে পারে। ডোপ টেস্টে যেভাবে ‘ইচ্ছামতো’ নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সেভাবে ‘লাই ডিটেক্টর’ পরীক্ষা করতে পারি আমরা। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে কেউ জড়িত আছে কিনা, তা জানতে নিয়মিত মৌসুমে এটি আমরা করতে পারি। এটি অবশ্য প্রথাগত বাইরের ধারণা। তথ্যসূত্র: ক্রিকেট পাকিস্তান ডটকম