উদ্বোধন হলো দেশের সর্ববৃহৎ করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল
করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অস্থায়ীভাবে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় দুই হাজার ১৩ শয্যার কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালটি আজ রবিবার উদ্বোধন করেছেন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।
বসুন্ধরা করোনা ডেডিকেটেড অস্থায়ী হাসপাতালটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কভিড হাসপাতাল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এই হাসপাতালটি (বসুন্ধরা অস্থায়ী কভিড হাসপাতাল) সরকার প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল।
তিনি বলেন, এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক মোট ২০১৩টি আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে যার মধ্যে ৭১টির সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা রয়েছে। এ ছাড়া এখানে আরো অন্তত ৪০০টি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আইসিইউ ব্যবস্থাসহ এই হাসপাতালটি উন্নত দেশের কভিড অস্থায়ী হাসপাতালের থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবেলায় দেশে এখন প্লাজমা থেরাপির কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকার উৎপাদিত ঔষধ রেমডেসিভির এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে এবং সরকার এই ঔষধ মজুদ করছে।
নন কোভিড হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসার জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লকডাউন শিথিল করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার প্রথম থেকেই একটি সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনায় কাজ করেছে। যখন লকডাউন জরুরি ছিল তখনই লকডাউন করা হয়েছে, যখন শিথিল করা প্রয়োজন তখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সরকার যাকিছু করছে তা ভেবেচিন্তেই করছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেহাই পাবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) সিরাজুল ইসলাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, কালের কণ্ঠ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম।