নগরজীবন
ঈদের জামাতের জন্য কী কী নির্দেশনা দিলো ডিএমপি?
ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ের জন্য মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে প্রবেশদ্বারে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখাসহ ১৪ নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
শুক্রবার এ নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে:
- ঈদের জামাতের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
- ঈদের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
- করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে প্রবেশদ্বারে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
- মসজিদের অজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- ঈদের জামাতে আসা মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
- ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরুত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
- এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারবদ্ধ হতে হবে।
- করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- মসজিদে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।
- করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকুন।
- ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াত না করে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুন।
- ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন এবং বাসাবাড়ি ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন।
- মালিক পক্ষ স্ব স্ব মার্কেট বা শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন এবং আপনার এলাকার থানা বা পুলিশ ফাঁড়ির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।
- খালি বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় তা রেখে যান।
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নাগরিকদের অনুরোধ জানাচ্ছে।