গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটের ট্রায়াল স্থগিতে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তকরণ কিটের ট্রায়াল পরীক্ষা স্থগিতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি অবিলম্বে গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) বিএনপির গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দ্রুত বাড়ছে। আমরা ইতোমধ্যে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেশের বরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও আক্রান্ত এবং মারা যাচ্ছেন।
“আমরা আরও লক্ষ্য করেছি যে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিট যখন বিএসএমএমইউতে ট্রায়াল পরীক্ষা হচ্ছিল সেই সময়ে হঠাৎ করেই সরকারের ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের ট্রায়াল স্থগিত করেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ওষুধ প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবেই করোনা পরীক্ষা করতে আগ্রহী নয়। আমরা দাবি করছি অবিলম্বে গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার সমাধান হোক,” তিনি বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমি তার এবং অন্যান্য যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরও আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। ইতোমধ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী, রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা করোনায় মারা গেছেন তাদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিট দিয়ে কোভিড-১৯ শনাক্ত এবং এ কিট সরবরাহ ও বাজারজাত করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। কিটটি অভ্যন্তরীণ গবেষণার কাজে ব্যবহারের কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সোমবার ঔষধ প্রশাসন এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়। পরিপ্রেক্ষিতে কিটের ট্রায়ালের কার্যক্রম স্থগিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।