ইন্টারনেটের গতি কমানোয় প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ আদালতের
নাগরিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেশের মানুষের অধিকার খর্ব করায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
বুধবার দেশটির আদালত গত বছর সরকারের নেওয়া পাপুয়া অঞ্চলের ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ার সেই সিদ্ধান্তকে বেআইনি হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বছরের আগস্টে দেশটির জাভা দ্বীপের সুরাবায়া শহরে পাপুয়ান শিক্ষার্থীরা বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার পর বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। পাপুয়া এবং পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানির বিস্তার ঠেকাতে ইন্টারনেটের গতি কমানোর নির্দেশ দেয়।
বুধবার জাকার্তার প্রশাসনিক আদালত প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোসহ দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই সময় দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেটের গতি হ্রাস এবং কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নাগরিক অধিকার খর্ব এবং স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করায় দেশের সরকার অন্তত তিনটি জাতীয় দৈনিক এবং ছয়টি টেলিভিশনে আগামী এক মাসের মধ্যে বিবৃতি প্রকাশ এবং প্রচার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
গত বছর জাকার্তার প্রশাসনিক আদালতে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ইন্দোনেশীয় অ্যালায়েন্স অফ ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্ট এবং সাউথইস্ট এশিয়া ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন নেটওয়ার্ক নামের দু’টি সংস্থা। এই মামলার শুনানি শেষে বুধবার আদালত সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এক মাসের সময় বেধে দিয়ে নির্দেশ জারি করে।
দেশটির সরকার আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি-না সেবিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে আপিল করার জন্য ১৪ দিনের সময় পাবে দেশটির ক্ষমতাসীন জোকো উইদোদো সরকার।